‘দোবারা’-র সেটে তাপসীর কোলে কশ্যপ
তাপসীর কোলে কশ্যপ। মুখে হাসি অভিনেত্রী ও পরিচালকের। দু’জনের হাতের মুদ্রা একই রকম। যার অর্থ ‘দুই’ অথবা ‘ভি’। নেটাগরিকদের মতে, একটি কারণ হতে পারে, পুণেতে এখন ‘দোবারা’ ছবির শ্যুট করছেন বলে হাতে ‘দুই’ দেখিয়েছেন। নয়তো ‘ভি’ অর্থে তাঁরা ‘ভিক্টরি’ বা জয়লাভের কথা বলতে চাইছেন। সম্ভাবনা, এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চেয়েছেন অনুরাগ ও তাপসী।
টুইটারে অনুরাগের পোস্ট করা সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সাদা শাড়ি ও ব্লাউজ পরে চেয়ারে বসে অভিনেত্রী তাপসী পান্নু। তাঁর কোলে অনুরাগ কশ্যপ। ছবির পেছনে সেটেকর কর্মীরা কাজে ব্যস্ত। ক্যাপশনে অনুরাগ লিখলেন, ‘এবং আমরা আবার শ্যুট শুরু করলাম।’ পাশে হ্যাশট্যাগে লেখা, ‘দোবারা’।
কশ্যপ সেই একই ছবি পোস্ট করেছেন ইনস্টাগ্রামে। সেখানে আরেকটু স্পষ্ট করেছেন নিজের অবস্থান। ক্যাপশনে লেখা, ‘যাঁরা আমাদের ঘৃণা করেন, তাঁদেরকে অনেক ভালবাসা’।
আয়করের হিসেব পত্র নিয়ে ৪ দিন ধরে নাজেহাল অনুরাগ কশ্যপ ও তাপসী পান্নু। কর ফাঁকির অভিযোগ ‘ফ্যান্টম ফিল্মস’ প্রযোজনা সংস্থার বিরুদ্ধে। ২০১৮ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া এই প্রযোজনা সংস্থার নির্মাতাদের নাম রয়েছে সে তালিকায়। রয়েছেন মধু মন্টেনা, বিকাশ বহেল ও বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানে। তাঁরা ছাড়াও আয়কর দফতরের নজরে রয়েছেন রিলায়্যান্স এন্টারটেনমেন্ট গ্রুপ’-এর প্রধান কার্যনির্বাহী আধিকারিক শিবাশিস সরকার ও দুই ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থা, ‘কোয়ান’ ও ‘এক্সিড’।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এর মাঝেই পুণেতে অনুরাগ ও তাপসীকে জেরা করেছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা।
বৃহস্পতিবার আয়কর দফতর জানিয়েছে, প্রায় ৬৫০ কোটি টাকার হিসেব মিলছে না। প্রযোজনা সংস্থার বক্স অফিস থেকে প্রকৃত আয়ের সঙ্গে আয়কর দফতরে পেশ করা আয়ের নথিতে বিস্তর ফারাক নজরে এসেছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় নেটমাধ্যম। এক দিকে চলছে কেন্দ্রীয় সরকারের জোর সমালোচনা, অন্য দিকে পান্নু-কশ্যপের দিকে কটাক্ষের তির ছুঁড়লেন কিছু নেটাগরিক।
নেটাগরিকদের মন্তব্য দেখে বোঝা গেল যে তাঁদের মতে, এই সমস্ত বিতর্কের মধ্যে আচমকা অনুরাগের এই ছবি পোস্ট করার উদ্দেশ্য কেবল প্রচার নয়। সম্ভবত তিনি এই অভিনব উপায়ে আদপে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতা করলেন। যদিও অনুরাগ ও তাপসী এর আগেও বহু বার এই একই পোজে ছবি পোস্ট করেছেন। কিন্তু ইনস্টাগ্রামে তাঁদের মন্তব্য দেখে বোঝা গেল, এ বারের ছবির উদ্দেশ্য আগের থেকে ভিন্ন। অনুরাগ-প্রেমীরা তাঁকে সাহস দিলেন এই লড়াইটা চালিয়ে যাওয়ার জন্য। কেউ কেউ আবার তাঁকে হেফাজতে পুরে দেওয়ার আর্জি জানালেন।