পেশাগত সম্পর্কের বাইরেও তাঁদের বন্ধুত্বের বয়স প্রায় ১৪ বছর।
২০০৬ সাল। পরিচালক অনুরাগ বসুর হাত ধরে বলিউডে প্রবেশ করেন কঙ্গনা রানাউত। ‘গ্যাংস্টার’ ছবিতে কঙ্গনাকে নায়িকার ভূমিকায় বেছে নিয়েছিলেন পরিচালক। এর পর অনুরাগের ‘লাইফ ইন আ মেট্রো’, ‘কাইটস’ ছবিতেও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেন কঙ্গনা। পেশাগত সম্পর্কের বাইরেও বন্ধুত্বের বয়স প্রায় ১৪ বছর। কিন্তু এখন কঙ্গনাকে বুঝতে অসুবিধা হয় অনুরাগের। জনসমক্ষে কঙ্গনা নিজের যে ব্যক্তিত্ব তুলে ধরেন, সেটার সঙ্গে বন্ধু কঙ্গনাকে মেলাতে পারেন না পরিচালক।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা প্রসঙ্গে অনুরাগ বলেছেন, "গ্যাংস্টারের জন্য ২০-২৫ জন মেয়ে অডিশন দিতে এসেছিল। কিন্তু কঙ্গনার মুখটা আমার মনে রয়ে গিয়েছিল। ওঁর মধ্যে কিছু একটা আলাদা ছিল। শুরুর দিকে ওঁকে সব কিছু শিখিয়ে দিতে হত। কিন্তু সব কিছু খুব দ্রুত শিখে নেওয়ার ক্ষমতা ছিল কঙ্গনার।"
দু’জনেই নিজেদের কাজ নিয়ে ব্যস্ত। দেখা সাক্ষাৎ খুব একটা হয় না বললেই চলে। তবে দেখা হলে কঙ্গনাকে বুঝে উঠতে পারেন না অনুরাগ। তাঁর কথায়, কঙ্গনার দু'টি রূপ রয়েছে। একটি তাঁর চেনা কঙ্গনা, যাঁকে অনুরাগ সেই গ্যাংস্টারের সময় থেকে বেড়ে উঠতে দেখেছিলেন। অন্যটি হল অভিনেত্রীর ‘পাবলিক পার্সোনা’, যেটা অনুরাগের বোঝাপড়ার বাইরে।
আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় যৌন কটূক্তির শিকার এ বার অলিভিয়াও
‘ইমালি’ ছবিতে অনুরাগের পরিচালনায় ফের কাজ করার কথা ছিল কঙ্গনার। কিন্তু সে সময় পরিচালনায় মনোনিবেশের জন্য সেই ছবি করতে রাজি হননি অভিনেত্রী।
অভিনয়ের চেয়েও বেশি ইদানিং রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় মন্তব্যের জন্য শিরোনামে উঠে আসছে কঙ্গনার নাম। নেপোটিজম, স্বজনপোষণ নিয়ে কথা বলে বলিউডের একাংশের বিরাগভাজন হয়েছিলেন আগেই। তবে সব বিতর্কের মাঝেই জোর কদমে কাজ করে চলেছেন ‘কুইন’।
আরও পড়ুন: ফেস্টিভ মুডে ‘দিদি নম্বর ১’, আগুন জ্বালিয়ে নাচ রচনার