অনুপম একগুচ্ছ ছবি ভাগ করে নিয়েছেন স্টেডিয়াম থেকে। যাতে কখনও বন্ধুদের পাশে কখনও একা দাঁড়িয়ে খুশিতে ভেসেছেন জনপ্রিয় গায়ক-সুরকার। সংগৃহীত
বিশ্বকাপের উন্মাদনায় কাতারে গিয়ে বসে আছেন অজস্র বাঙালি। গ্যালারিতে ক্যামেরা ঘুরলেই ইতিউতি অনেকের মুখ ভাসছে। দেখা গেল ‘শুকনো পেঁয়াজকলি’-র গীতিকার অনুপম রায়কেও। ভারতের পতাকা পিঠে মেলে ধরে আনন্দ উদ্যাপনে শামিল তিনিও। শুক্রবার আর্জেন্টিনার জয়ের পর লুসেইল স্টেডিয়ামের গ্যালারি যখন সাদা-নীলে ভরা, স্বমহিমায় উঠে দাঁড়িয়ে হাসতে দেখা গেল অনুপমকেও।
অনুপম একগুচ্ছ ছবি ভাগ করে নিয়েছেন স্টেডিয়াম থেকে। যাতে কখনও বন্ধুদের পাশে কখনও একা দাঁড়িয়ে খুশিতে ভেসেছেন জনপ্রিয় গায়ক-সুরকার। সেই দেখে ছবির নীচে মন্তব্য এসেছে— ‘‘মেসির খেলা সামনে থেকে দেখার পর সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে একটা গান লেখো, অপেক্ষায় রইলাম।’’
বাংলার গায়ককে এতটাই ভরসা করেন তাঁর অনুরাগীরা। তাঁর ভাগ করে নেওয়া ছবি নিমেষে ভাইরাল। অনেকেই আবার দুঃখ প্রকাশ করলেন এ বারের বিশ্বকাপ কাতারে গিয়ে দেখতে না পারার জন্য। সে দিক থেকে অনপুমকে ‘ভাগ্যবান’ বললেন কেউ কেউ।
যে দেশই খেলুক, সে যে ‘বাঙালির প্রিয় ফুটবল’! ২০২২ সালের বিশ্বকাপ উন্মাদনায় আরও এক বার প্রমাণিত হয়ে গেল সেই প্রবাদপ্রতিম গানের কলি। ব্রাজিল- ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচের পর যেমন মুষড়ে পড়েছেন এক দল, তেমনই নেদারল্যান্ডসকে টাইব্রেকারে হারিয়ে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠার পর উল্লাসে ফেটে পড়লেন আর এক দল। কোনও বাঙালি মেসিকে হাসতে দেখে আপ্লুত, আবার কেউ নেইমারকে কাঁদতে দেখে নিজেও কেঁদে ভাসিয়েছেন। তাঁদেরই ভিড়ে অনুপমও এক জন। আর্জেন্টিনার জার্সি পরেননি, তবুও দেখে বলে দেওয়া যায় তিনি ভক্ত সেই দলেরই।