জয়া এহসান। ফাইল চিত্র।
ছেলেধরার ছেলে অপহৃত হলে কেমন লাগে তার? এই প্রশ্ন নাকি রাতের ঘুম কেড়েছে পরিচালক শিলাদিত্য মৌলিকের!
বরাবরই তাঁর প্রশ্নের ধরন, একটু ‘হটকে’। প্রথম প্রশ্ন ছিল, কালো মেয়ের বিয়ে হওয়া উচিত? উত্তর লুকোনো ছিল দার্জিলিংয়ের কুয়াশা ঘেরা পথের বাঁকে, ‘সোয়েটার’ ছবিতে। দ্বিতীয় প্রশ্ন, ভালবাসার বসতি মগজে না হৃদপিণ্ডে? এর উত্তর দেবে ‘হৃদপিণ্ড’। অতিমারির আবহে যে ছবির মুক্তি অনির্দিষ্ট।
চুপচাপ বসে না থেকে শিলাদিত্য আবার তাই ছবি পরিচালনায়। তাঁর তৃতীয় প্রশ্ন জন্ম দিয়েছে আরও দু’টি প্রশ্নের। পরিচালক জানেন উত্তরটা? নাকি তৃতীয় ছবি ‘ছেলেধরা’ সেই উত্তর খুঁজবে? ‘‘দ্বিতীয় প্রশ্নই আমার উত্তর। আমিও জানি না, ছেলেধরার ছেলে হারালে তার ঠিক কী অনুভূতি হয়,’’ জবাব শিলাদিত্যের।
অপহরণ, ক্রাইম থ্রিলারের পাকদণ্ডী বেয়েই আগামী ছবিতে ফের সম্পর্কের আরও একটি দিক উদযাপন করতে চলেছেন পরিচালক। মানুষের কাছে সন্তান স্পর্শকাতর জায়গা। এখানে দোষী এবং আক্রান্ত, দু’জনেরই পরিবার রয়েছে। এবং অপহৃত বাচ্চা মেয়েটি ভাঙা পরিবারের সন্তান। যার মা নিয়মিত মদ্যপায়ী।
আরও পড়ুন: সুশান্তের মনে কী ছিল, জানালেন তাঁর ডাক্তারেরা
বড় পর্দার হালফিলের ট্রেন্ড মেনে থ্রিলার আর সম্পর্কের ককটেল? এক জবাবে সারলেন পরিচালক, ‘‘সম্পর্ক ছাড়া জীবন হয়?’’ তারপরেই ব্যাখ্যা, একটা সম্পর্কের অনেক শেড। প্রতি ছবিতে একটা করে দিক ধরলেও জীবন কাবার। ফলে, সম্পর্কের বাইরে আপাতত কিছুই ভাবছেন না তিনি।
শিলাদিত্য, অনুরাধা।
প্রথম দুটো গল্পের ব্যাকগ্রাউন্ড দার্জিলিং, অরুণাচল। এবার? ‘‘রোড শো গল্প বলে। কলকাতার পাশাপাশি উঠে আসবে পুরুলিয়া, ঝাড়খণ্ডের জঙ্গল ঘেরা রাস্তা। যদিও ইচ্ছে ছিল সমুদ্রকে ধরব। বাদ সাধল করোনা’’ যেন হাল্কা আফসোস শিলাদিত্যের।
অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের পর জয়া এহসান।আপনার অভিনেতা নির্বাচন বাকি পরিচালকদের হিংসার কারণ হচ্ছে? জয়ার এক অঙ্গে গ্রাম্য আর শহুরেপনার সহবাস, নিটোল গলার স্বর, সংলাপ বলার স্টাইল, জেস্চার পশ্চার— সব মিলিয়ে এই চরিত্রের জন্য তাঁকে ছাড়া ভাবা গেল না, সাফ জবাব। জয়ার সঙ্গে এই ছবিতে থাকছেন অনুরাধা মুখোপাধ্যায়, প্রান্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়, ঈশান মজুমদার।
প্রান্তিক এবং ঈশান।
আর গান? ‘‘প্রেমে পড়া বারণ’’, ‘‘মন কেমনের জন্মদিন’’-এর পর রণজয় ভট্টাচার্য কী স্পেশাল দিচ্ছেন? ‘‘বলা বারণ’’, হো হো হাসি শিলাদিত্যের। তারপরেই আশ্বাস, এরকমই একটা হিট গান থাকবে। বাকিগুলোও আরাম দেবে কানকে।
সব কিছু ঠিক থাকলে পুজোর আগেই কলকাতার শুটিং সেরে নিতে চান পরিচালক। না হলে শুট হবে লক্ষ্মী পুজোর শেষে। যুক্তি, শরতের প্রকৃতি যেন শিল্পীর ক্যানভাস। ইচ্ছে মতো তাতে ছবি আঁকা যায়।