পাভেলের নতুন ছবিতে অভিনয় করবেন অঙ্কুশ
নির্বাণ সেন একজন মনোবিদ। মানসিক সমস্যা-পীড়িত মানুষেরা রোজই তাঁর কাছে আসেন। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি থেকে আসা মানুষের সমস্যা সমাধানের জন্য নির্বাণ সেন যে মনোবিশ্লেষণ করেন, তা একদিক থেকে সমাজের গতিপ্রকৃতির বিশ্লেষণই হয়ে ওঠে। নির্বাণ সেনের ঠিকানার জন্য উৎসাহী হয়ে উঠেছেন? না, এই নির্বাণ সেন বাস্তবে নেই। তিনি আসলে নতুন একটি ছবির চরিত্র। ছবির নাম ‘মন খারাপ’। নির্বাণ সেনের চরিত্রে অভিনয় করবেন অঙ্কুশ।
ছবির পরিচালক পাভেল। চিত্রনাট্যকার পাভেল মানেই নতুন নতুন ভাবনা। ‘বাবার নাম গান্ধীজি’, ‘রসগোল্লা’, ‘অসুর’-- প্রত্যেকটি ছবিতেই নতুন চিন্তা দিয়ে দর্শকের মন জয় করেছেন তিনি। নতুন প্রজন্মের এই পরিচালক, চিত্রনাট্যকার সাড়া ফেলেছেন সর্বস্তরেই। আনন্দবাজার ডিজিটাল-এর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে পাভেল বলেন, “মানসিক মহামারি নিয়ে এই ছবি। একটা মহামারী তো আমরা দেখছি। লড়াই চলছে। কিন্তু চুপিসারে আরেকটা মহামারী সমাজকে গ্রাস করেছে। বর্তমানে মানুষ গৃহবন্দি, ভীত জীবন কাটাচ্ছে। সমাজের চারদিক বদলে গেছে। চেনা পৃথিবী যেন অচেনা। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণিতে আলাদা আলাদা রকমের চাপ এসেছে। সেই জায়গা থেকেই ছবি। চিন্তাটা আগে থেকেই মাথায় ছিল, করোনাকালে এটা নতুন ভাবে দানা বেঁধেছে। তবে ‘মন খারাপ’ শুনে যাদের মন খারাপ হচ্ছে, তাদের বলি, আমার ছবি যেমন হয়, কমেডি ইত্যাদি সব কিছুই থাকবে। কিন্তু ছবির ভিতটা সাইকোলজির ওপরে দাঁড়িয়ে। ছবিটাকে সাইকোলজিকাল থ্রিলার বলা যায়।”
বাণিজ্যিক ছবির জনপ্রিয় নায়ক অঙ্কুশ এই ধরনের ছবিতে অভিনয় করছেন, এটাও লক্ষণীয়। পাভেল মজা করে বললেন, ছবিতে অঙ্কুশ আছেন, কিন্তু তাঁর কোনও নায়িকা নেই।
পাভেলের ‘অসুর’ ছবিতে অন্য রকম কাজ করেছেন জিৎ। দেবও তথাকথিত মশলা ছবি থেকে সরে এসেছেন অনেকটাই। পরবর্তী জনপ্রিয় নায়ক অঙ্কুশ ভিন্ন ঘরানার ছবিতে আগ্রহী হচ্ছেন। হরেক গুঞ্জনের মধ্যে এটাও অনেকে বলছেন, এই ধরনের ছবি বেশি হলে ভাল অভিনেতারা অনেক বেশি কাজ পাবেন। ‘মন খারাপ’ ছবিতে অঙ্কুশ ছাড়াও অভিনয় করবেন অপরাজিতা আঢ্য, বিদীপ্তা চক্রবর্তী, কৌশিক সেন, ঋদ্ধি সেন, অবন্তিকা বিশ্বাস প্রমুখ।
“শুটিং কবে শুরু?” এই প্রশ্নের উত্তরে পাভেল জানান, “এ বার কাজ শুরু করতেই হবে। যে লোকটা বই বেচে তারও কাজ দরকার, যে ঘটিগরম বেচে তারও কাজ দরকার। ভোটের মতো বড় কাজও তো হয়ে গেল। আমি মনে করি, সাহস দেখাতেই হবে। ছবির কাজে যুক্ত মানুষেরা কেউ হয়ত একটা টিকা নিয়ে আসবে, কেউ হয়তো দুটো টিকা নিয়ে আসবে, কেউ হয়তো ভ্যাক্সিন পায়ইনি। তো এ ভাবেই কাজ করতে হবে। পরিস্থিতি অনুযায়ী চলতে হবে। কিন্তু কাজটা চালু হোক। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে মানুষের।”