অঙ্কিতা-ভিকি। ছবি: সংগৃহীত।
জুটি হিসাবে ‘বিগ বস্’-এর ঘরে প্রবেশ করেছিলেন টেলিভিশন অভিনেত্রী অঙ্কিতা লোখন্ডে ও তাঁর স্বামী ভিকি জৈন। সলমন খানের সেই রিয়্যালিটি শোয়ে পা রাখার পর থেকেই প্রশ্নের মুখে তাঁদের দাম্পত্য জীবন। ‘বিগ বস্ ১৭’-এর ঘরে একের পর এক অশান্তি অঙ্কিতা ও ভিকির মধ্যে। ঝগড়া করা থেকে শুরু করে একে অপরের প্রতি কটূক্তি করা— কোনও কিছুই বাদ রাখেননি তাঁরা। এমনকি, ‘বিগ বস্’-এর ঘরের সব প্রতিযোগীর সামনে ভিকির কাছে অপমানিত হওয়ার পর তাঁকে বিচ্ছেদের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন অঙ্কিতা। এর মাঝেই নয়া মোড় তাঁদের সম্পর্কে। সম্প্রতি এক পর্বে অঙ্কিতা ভিকিকে জানান, গত কয়েক দিন ধরে নাকি কখনও মেজাজ হারাচ্ছেন তিনি, কখনও আবার মনখারাপ হচ্ছে তাঁর। তবে কি সত্যিই সন্তানসম্ভবা টেলি অভিনেত্রী?
‘বিগ বস্ ১৭’-র ওই পর্বে অঙ্কিতা ভিকিকে জানান যে, তাঁর নাকি ঋতুস্রাব হয়নি। তিনি সন্তানসম্ভবা কি না, তা পরীক্ষা করার জন্য রক্ত পরীক্ষাও নাকি করিয়েছেন তিনি, জানান অঙ্কিতা। অঙ্কিতা ভিকিকে বলেন, ‘‘আমার এখানে থেকে খুব শরীর খারাপ করছে। আমি বাড়ি যেতে চাই।’’ অঙ্কিতা ভিকিকে এ-ও জানান যে, তিনি সন্তানসম্ভবা কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য তাঁর মূত্র পরীক্ষাও করা হয়েছে।
এ দিকে কয়েক দিন আগে দীপাবলির পর্বের পরেই তুঙ্গে ওঠে ভিকি ও অঙ্কিতার অশান্তি। ‘বিগ বস্ ১৭’-র খেলার নিয়ম অনুযায়ী এখন আলাদা ঘরে থাকছেন ভিকি ও অঙ্কিতা। অঙ্কিতাকে ছেড়ে অন্য ঘরে থাকতে পেরে নাকি খুব খুশি হয়েছেন ভিকি, দাবি করেন তিনি। তা শুনে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন অঙ্কিতা। অপমান আর সহ্য করতে না পেরে অঙ্কিতা বলেন, ‘‘তুমি একটা স্বার্থপর মানুষ। তুমি এত দিন আমাকে স্রেফ ব্যবহার করেছ। এ বার আমিও ভুলে যাব যে আমি বিবাহিত!’’ এই ঘটনার পরেই প্রশ্ন উঠতে থাকে, তবে কি সত্যিই ‘বিগ বস্’-এর ঘরেই একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টানবেন তাঁরা? না কি অঙ্কিতার মা হওয়ার খবর নিশ্চিত হলে তিক্ততা মিটিয়ে একে অপরকে কাছে টেনে নেবেন যুগল?