গল্ফ খেলার দৃশ্যে অনিল যে শর্টসগুলো পরেছিলেন সেগুলো তাঁর ফিজিওথেরাপিস্টের থেকে ধার করেছেন। —ফাইল চিত্র
অপরাধ জগতের অলিগলিতে অস্ত্রের কারবার করেন অনিল কপূর। তিনি পুরোদস্তুর অস্ত্র ব্যবসায়ী, যাঁর লেনাদেনা আন্তর্জাতিক স্তরে। নতুন ভূমিকায় দর্শক এ বার অন্য অনিলকে দেখবেন ডিজ়নি হটস্টার সিরিজ় ‘দ্য নাইট ম্যানেজার’-এ।
এই চরিত্রের জন্য সাজও আলাদা, জানালেন অনিল। আপাতত অন্যের পোশাক ধার করেই কাজ চালাচ্ছেন। পরিবার এবং বন্ধুবান্ধব, অনেকের থেকেই পোশাক নিয়ে পরেছেন অনিল, যাতে তাঁর চেহারার উপর বেখাপ্পা লাগে। চরিত্রের ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলতে এটিই আদর্শ উপায়, মনে করছেন অভিনেতা।
অনিল দেখালেন, ‘দ্য নাইট ম্যানেজার’-এর সেটে ব্যবহৃত একজোড়া শার্ট আসলে তাঁর পুত্র হর্ষবর্ধনের। গল্ফ খেলার দৃশ্যে অনিল যে শর্টসগুলো পরেছিলেন সেগুলো তাঁর ফিজিওথেরাপিস্টের থেকে ধার করেছেন। তবে অনিল জানান, তাঁর এই অন্যের পোশাক পরার প্রবণতা অনেক আগে থেকেই। সম্প্রতি ইউটিউবে এক অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে এসেছিলেন অনিল। সেখানেই ফাঁস করলেন এই গোপন বৃত্তান্ত। জানালেন, কন্যা সোনমের আলমারিতেও নাকি উঁকি দেন মাঝেমাঝেই!
এমন কীর্তি আর কী কী করেছেন অভিনেতা? অনিলের কথায়, “১৯৯৭ সালে ‘বীরাসত’ ছবিতে যে ট্রাউজারস পরেছিলাম সেগুলো আসলে জ্যাকি শ্রফের। ওকে পরে থাকতে দেখে আমার পছন্দ হয়েছিল। আমিও পরতে চেয়েছিলাম। ও আমার জন্য পাঠিয়ে দিয়েছিল। গত ২০ বছর ধরে ট্রাউজারস ফেরত চাইছে ও, কিন্তু আমি দিইনি।”
সম্প্রতি সেই ট্রাউজারস প্রসঙ্গে অনিল জানালেন, সেটি দেখলে জ্যাকির কথা মনে পড়ে যেত, আবেগপ্রবণ হয়ে পড়তেন। তাই দিয়েও আবার ফেরত নিয়ে নিয়েছেন।
এর পরই অনিল বলেন, “আমার মেয়ে রিয়া আর সোনমের আলমারি খুলে জামাকাপড় আর আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র দেখি। ওদের থেকেও যদি কিছু নিয়ে পরা যায়, সেই তালে থাকি।” কী কী নিয়েছেন মেয়েদের থেকে? জিজ্ঞাসা করতে অনিল জানান, জ্যাকেট, কোট এবং এই ধরনের অনেক পোশাক যেগুলো পুরুষ-নারী উভয়েই পরতে পারে সেই সব নিয়েছেন সোনম আর রিয়ার থেকে। আর নিয়েছেন রোদচশমা।
অনিলের কথায়, “আমার চরিত্রকে আকর্ষণীয় করে তুলতে আমি যে কোনও কারও যে কোনও কিছু চুরি করতে পারি।”
২০১৬ সালের ব্রিটিশ সিরিজ ‘দ্য নাইট ম্যানেজার’-এর রিমেক হিসাবে তৈরি হচ্ছে এই হিন্দি সিরিজ। অনিল ছাড়াও এখানে দেখা যাবে আদিত্য রায় এবং তিলোত্তমা সোমের মতো তারকা। অনিলের হাতে রয়েছে আরও একগুচ্ছ ছবি।