এখনই কেন বিয়ে করব? ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।
দেবের সঙ্গে নাকি আপনি খুব ঝগড়া করেছেন?
খুব। আমি একদম ঝগড়ুটে নই। তবে ‘লাভ এক্সপ্রেস’-এ ঝগড়া করতে পেরে ভালই লেগেছে। খুব এনজয় করেছি।
কী নিয়ে আপনাদের এত ঝগড়া বলবেন প্লিজ?
ছবিটা আসলে লাল আর নীলের জার্নি। দেব লাল। আমি নীল। নীল ঝগড়ুটে। অনেক সমস্যায় পড়ে, কিন্তু তাতে ওর কিছু যায় আসে না। খুব সুইট গার্ল। কিন্তু বাইরে সেটা দেখায় না।
আর ঝগড়ার কারণ?
ওটা জানতে গেলে ছবিটা দেখতে হবে, হলে যাওয়া মাস্ট।
আপনাকে তো আজকাল তৃণমূলের সব অনুষ্ঠানেই দেখা যাচ্ছে, ডিরেক্ট পলিটিক্স জয়েন করছেন নাকি?
না। অন্তত এখনই নয়।
মানে ক’দিন পর সম্ভাবনা আছে বলছেন?
আমি তো কোনওদিন এটা নিয়ে ভাবিনি। আমি শুধু মানুষকে এটা বোঝাতে চাই, আমরা অভিনয় করছি বলে আশেপাশে যা হচ্ছে সেটা নিয়ে আমরা সচেতন নই, এমন তো নয়। কোথায় কী হচ্ছে তা নিয়ে আমরাও ভাবি। ইয়ুথ আজ যথেষ্ট সচেতন। আমরা যদি কাউকে ইন্সপায়ার করতে পারি, অনুষ্ঠানে কেন যাব না? আমাদের মুখে শুনে যদি লোকে আরও ভাল কাজ করতে পারে, তা হলে কেন যাব না বলুন? দেব, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো ইয়ং পলিটিশিয়ানরা তো আছে। যাঁদের ভাবনা, কথা ইয়ং জেনারেশনের অ্যাডপ্ট করে নিচ্ছে।
তা হলে ফোকাসে ওনলি কেরিয়ার?
অফকোর্স।
আর বিয়ে? আপনার পাঁচ বছরের পুরনো বয়ফ্রেন্ড ভিকের কথা তো অনেকেই জানেন।
হুম। তবে বিয়ের জন্য এখনও অনেক সময় আছে। এখনই কেন বিয়ে করব? চাপটা বেড়ে যাবে না! (হাসতে হাসতে)
প্রফেশনাল জায়গায় আদৌ কোনও বন্ধু হয়?
অফকোর্স। ইন্ডাস্ট্রিতে আমারই তো চার জন বন্ধু রয়েছে। আমি আলাদা করে আর কারও নাম করলাম না। যে কোনও প্রবলেম আমি ওদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারি।
পাঁচ বছর আগে তো আপনার কেরিয়ার বা ব্যক্তি জীবনে বেশ কঠিন সময় এসেছিল। পাশে পেয়েছিলেন এই বন্ধুদের?
ব্যাড প্যাচ, ওই সময়ের বন্ধু… এ সব প্রশ্নের কোনও উত্তর দেব না।
ওই চ্যাপ্টারটা নিয়ে কোনও কথা বলতে চাইছেন না?
(কোনও এক্সপ্রেশন নেই মুখে) আমি শুনতেই পাচ্ছি না আপনি কী বলছেন।
টলিউডে অনেকেই বলে আপনি আন্ডাররেটেড, মানবেন?
দেখুন আমার মনে হয় ৩০ শতাংশ পোটেনশিয়াল বাকি ৭০ শতাংশ ডেস্টিনি— ফলে আমার মনে হয় আমার যতটা পাওয়ার আমি পেয়েছি। যেটা হওয়ার ছিল সেটাই হয়েছে। আমার কোনও দুঃখ, খারাপ লাগা কিছুই নেই।
কিন্তু রিমেক ছবিতে আপনি টাইপকাস্ট হয়ে যাচ্ছেন না কি?
‘লাভ এক্সপ্রেস’ রিমেক হলেও অন্য ভাবে তৈরি করা হয়েছে। জানেন, আমার একটা পলিসি আছে, এ সব ক্ষেত্রে আমি আসল ছবিটা দেখি না। পরে আমার ছবিটা তৈরি হয়ে গেলে বা রিলিজ হয়ে গেলে কখনও হয়তো দেখলাম। এটা রাজীবদা (পরিচালক রাজীব বিশ্বাস) নিজের কনসেপ্টে তৈরি করেছে। এখানে দেব, কাঞ্জনদা, রুদ্রদা— অসাধারণ কাজ করেছে নিজের নিজের চরিত্রে। ফলে স্টোরি লাইন ছাড়া আমি তো আর কোনও মিল দেখতে পাচ্ছি না।
টলিউডে এখন নিজস্ব গল্প নিয়ে প্রচুর কাজ হচ্ছে, সেখানে আপনি…
ব্যোমকেশ, জুলফিকর তো হচ্ছেই। ভবিষ্যতে হয়তো এমন প্রজেক্ট আরও করব। আর ছবি তো ছবিই। সেখানে তো অভিনয় করতে হবে, জিমনাস্টিক তো নয়। আলাদা করে বাইরে বেরিয়ে তো ক্রিকেট খেলব না, অভিনয় করব। সব ধরনের ছবিতেই সে সুযোগ থাকে।
আপনার একটা রাগী ইমেজ আছে, জানেন?
হুম, আমাকে দেখলে হয়তো মনে হয় অ্যারোগেন্ট। কিন্তু, আমাকে যারা কাছ থেকে চেনেন আমি শিওর তারা বেটার বলতে পারবেন।
ইমেজটা এনজয় করেন?
আমি তো লোকের মাথার ভেতর ঢুকে ভাবনা বদলাতে পারব না। তবে ইন্ডাস্ট্রির বেশির ভাগ লোকই এখন চেনে আমাকে। ফলে এটা এখন আর বদার করে না।
‘লাভ এক্সপ্রেস’-এর শুটিংয়ে কোনও মজার এক্সপিরিয়েন্স হয়েছে?
শুটিংয়ে দেব থাকা মানেই মজা। সব সময় কারও না কারণ লেগপুল করছে। টার্কিতে গানের শুটিং করেছি আমরা। ১২০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া সেখানে। কেউ দাঁড়াতে পারছে না। দেবকে অনেক ধন্যবাদ ও আমাকে ধরে রেখেছিল। না হলে হয়তো আমি উড়েই যেতাম (হাসি)। আরও একটা জিনিস হয়েছিল, তবে সেটাকে মজা বলা যাবে না হয়তো।
কী সেটা?
আমরা কলকাতা আর হায়দরাবাদে শুটিং করেছি। কলকাতায় বেশির ভাগ শুটিংই রাতে করেছি। ফলে শুটিংয়ের পরে বডি ক্লক চেঞ্জ হয়ে গিয়েছিল। সকালে ঘুম পেত, আর রাতে ঘুম আসতে চাইত না।
সাড়ে পাঁচ বছরের কেরিয়ারে পাওয়া সেরা উপহার কী?
এক্সপিরিয়েন্স। ভাল, খারাপ, এই জার্নির এক্সপিরিয়েন্সটাই আসল। কোনও জিনিসকে আমি ধরে রাখতে চাই না। যেটা আসে সেটা সহজ ভাবে নেওয়ার চেষ্টা করি।
লোকেশন সৌজন্যে: দ্য ললিত গ্রেট ইস্টার্ন।
আরও পড়ুন
‘আমি যে এতটা সিডাকটিভ হতে পারি জানতাম না’