সুশান্তের সঙ্গে মুকেশ
প্র: সুশান্ত সিংহ রাজপুত চলে গিয়েছেন একমাস হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে তো আপনার জীবনেও অনেক বদল এসেছে...
উ: সব কিছু বদলে গিয়েছে। আমার ছোট ভাই, আমার প্রথম ছবির হিরো আমাদের মধ্যে আর নেই। ‘দিল বেচারা’র প্রচার করতে গিয়ে ওকে আরও বেশি করে মিস করছি। আমরা একসঙ্গে অনেক স্বপ্ন দেখেছিলাম, যেটা আমাকে ওর হয়ে পূরণ করতে হবে এ বার।
প্র: সুশান্ত নাকি স্ক্রিপ্ট না পড়েই আপনাকে ‘হ্যাঁ’ বলেছিলেন?
উ: হ্যাঁ। বলত, আমার প্রথম ছবিতে ও কাজ করবেই। জামশেদপুর গিয়ে ‘দিল বেচারার’ স্ক্রিপ্ট পড়েছিল। আমার পরিচালক হওয়ার পিছনে সুশান্তের অবদান অনেক। তাই ফক্স স্টার যখন আমাকে ‘দ্য ফল্ট ইন আওয়ার স্টারস’-এর হিন্দি রিমেকের প্রস্তাব দিল, তখনই ঠিক করে নিয়েছিলাম, সুশান্তই হবে আমার ছবির হিরো।
প্র: ‘কাই পো চে’ থেকে ‘দিল বেচারা’... আপনার আর সুশান্তের জার্নিটা কেমন ছিল?
উ: ‘কাই পো চে’র অডিশনে প্রায় এক হাজার জন এসেছিল। কাস্টিং ডিরেক্টর হিসেবে সবচেয়ে সপ্রতিভ মনে হয়েছিল সুশান্তকে। স্টার হওয়ার সব রকম উপাদান ছিল ওর মধ্যে। ওই সময় থেকেই আমাদের মধ্যে একটা বন্ডিং তৈরি হয়ে যায়। ‘দিল বেচারা’র শুটিংয়েও খুব মজা করেছি। আমরা দু’জনেই ফুডি, বাইকে করে ঘুরে ঘুরে নতুন খাওয়ার জায়গা খুঁজতে বেরোতাম।
আরও পড়ুন: মা, দুই সন্তানকে শারীরিক নিগ্রহের হুমকি! আইনি পথে নিরাপত্তার খোঁজে কর্ণ?
প্র: কাস্টিং ডিরেক্টর থেকে নির্দেশক হওয়ার সিদ্ধান্তটা কবে নিলেন?
উ: আমি ‘গ্যাংস অব ওয়াসেপুর’, ‘শাহিদ’, ‘হিন্দি মিডিয়াম’, ‘হাইওয়ে’, ‘রকস্টার’-এর মতো ছবিতে কাস্টিং করেছি। আমার কাজ ছিল, চরিত্রের চাহিদা অনুযায়ী অভিনেতা বাছাই করা। আর সেটা করতে গিয়ে, ফিল্ম মেকিংয়ের অনেক খুঁটিনাটি শিখে গিয়েছিলাম। ২০১৫ সাল নাগাদ ঠিক করে নিয়েছিলাম যে, পরিচালনা করব। সুশান্ত খুব উৎসাহ দিত। ২০১৭ সালে ফক্স স্টার প্রস্তাব দিল।
প্র: সুশান্তের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলতে থাকা ঘটনাগুলো নিয়ে কী বলবেন?
উ: আমরা সকলে খুব নেগেটিভ হয়ে গিয়েছি। এই নেতিবাচক মানসিকতা থেকে বেরিয়ে সুশান্তের প্রতিভাকে সেলিব্রেট করা উচিত আমাদের। আমি খুব খুশি যে, এই শুক্রবার সুশান্তের লক্ষ লক্ষ ভক্ত ছবিটা দেখতে পাবেন।