অরুণিমা ঘোষ। ছবি: সুদীপ্ত চন্দ
তাঁর হাতে পরপর অনেকগুলো ছবি। প্রত্যেকটাই অন্য রকম। বছরের শুরুতে কেরিয়ারের এই ভাল সময়ে বেশ খুশি অরুণিমা ঘোষ। সদ্য মুক্তি পেয়েছে অরিন্দম শীলের ‘আসছে আবার শবর’। এর পর আসছে অনিন্দ্যবিকাশ দত্তের ‘নীলাচলে কিরীটি’, সত্রাজিৎ সেনের ‘মাইকেল’, রঞ্জন ঘোষের ‘রংবেরঙের কড়ি’, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের ‘সোনার পাহাড়’।
এতগুলো চরিত্র করতে গিয়ে একঘেয়েমি আসেনি? না, বরং প্রতিটা চরিত্রের ভিন্নতা অরুণিমার কেরিয়ারে যোগ করেছে অন্য মাত্রা। নিজেই বললেন, ‘‘আমি যদি পরপর দুটো ছবিতে স্ত্রীর ভূমিকার অভিনয় করে থাকি, তা হলে সেই দুটো চরিত্রেও রয়েছে আলাদা শেড। ‘মাইকেল’-এ আমার চরিত্রটা আইপিএস অফিসারের। ‘রং...’-এর চরিত্রও চ্যালেঞ্জিং।’’ সহ-অভিনেতা পরমব্রতের নির্দেশনায় কাজ করতেও ভালই লেগেছে তাঁর। বললেন, ‘‘একসঙ্গে অভিনয় করেছি বলে কমফোর্ট জোন ছিলই।’’
দীর্ঘ সময় টিভিতে কাজ করেছেন। কখনও ফিরে আসার কথা ভাবেননি? অরুণিমা বলছেন, ‘‘টিভি আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। বেশ কয়েকটা পুরস্কার পেয়েছি। তবে আমি টিভির সব রকম চরিত্র করে ফেলেছি। তাই ছেড়ে দিলাম। নন-ফিকশন হলে, তবেই টিভিতে ফিরতে রাজি।’’
ভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করার খিদেটাই মারাত্মক। তাই লি়ড চরিত্র করতেই হবে— এ ভাবনাটা অরুণিমার মোটেই নেই। নায়িকার চরিত্রের চেয়ে নেগেটিভ এবং অন্য ধরনের শেডের চরিত্র অবলীলায় বেছে নিতে পারেন। একসঙ্গে অনেকগুলো কাজ না করে, বরং দুটো কাজের মধ্যে ন্যূনতম বিরতি পছন্দ অভিনেত্রীর। এতে কাজের মান ভাল হয় বলেই মত তাঁর। অনেকের সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছিলেন অরুণিমা। সে ক্ষেত্রে অরিন্দম শীল, কমলেশ্বর চট্টোপাধ্যায়ের মতো পরিচালকের সঙ্গে কাজের ইচ্ছেপূরণ হলেও তালিকায় বাকি রয়ে গিয়েছে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের নাম। নতুন করে আবার কাজ করতে চান প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও।
অরুণিমা অবসরে সিনেমা দেখতে ভালবাসেন। ইচ্ছে হলে রাতের দিকে গাড়ি নিয়ে বেরিয়েও পড়েন। এ ছা়ড়া কেনাকাটার শখ তো রয়েছেই। আর ইন্ডাস্ট্রিতে প্রিয় বন্ধু? ‘‘সকলের সঙ্গেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। তবে এমন কেউ নেই, যাঁকে মাঝরাতে ফোন করে মনের কথা বলা যায়,’’ বলছেন অরুণিমা। বিয়েটা কবে করছেন? ‘‘এমন কাউকে পাইনি এখনও। কাউকে ডেট করছি না। তবে কখনও কাউকে যদি খুব ভাল লেগে যায়, তা হলে নিশ্চয়ই করব। এই মুহূর্তে মন দিয়ে কাজ করতে চাই,’’ জবাব তাঁর। আর একই ভাবে তো ধরে রেখেছেন নিজের সৌন্দর্যও। রহস্যটা কী? হেসে ফেললেন প্রশ্নটা শুনে। বললেন, ‘‘এই তো চুল উঠে যাচ্ছে। বাবাকে পাগল করে দিই প্রশ্নের চোটে। পছন্দের খাবার পেলে পেস্ট্রি, সন্দেশ... সব খাই। আসলে স্ট্রেস না নেওয়ার চেষ্টা করি,’’ স্পষ্ট জবাব অরুণিমার।