—প্রতীকী চিত্র।
বাংলার একটি প্রথম সারির বিনোদন চ্যানেলের এক উচ্চপদস্থ কর্তার বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠল। সম্প্রতি, বিষয়টি চ্যানেল কর্তৃপক্ষের নজরে আসার পর অভিষুক্তকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলেও শোনা যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছেন বলেও খবর।
টলিপাড়া সূত্রের দাবি, চ্যানেলের একাধিক সিরিয়ালের প্রযোজকদের থেকে অভিযুক্ত নাকি মোটা টাকা ঘুষ নিতেন। সাধারণত বাংলা ছবির স্যাটেলাইট স্বত্ব নিয়ে চ্যানেলের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়। এ রকমও শোনা যাচ্ছে, বাংলার একাধিক প্রযোজকের থেকে সংশ্লিষ্ট চ্যানেলে ছবি বিক্রির জন্য তিনি মোটা টাকা ঘুষ নিতেন। আবার বাংলা বিনোদন চ্যানেলের অনেকের সঙ্গেই প্রথম সারির অভিনেতাদের মাসিক বেতনের চুক্তি থাকে। বেশ কিছু অভিনেতাকে বেশি পারিশ্রমিক পাইয়ে দিতে নাকি অভিযুক্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতেন এবং সেখানে ‘কাটমানি’ প্রসঙ্গও উঠছে।
ঠিক কী ঘটেছে তা জানতে আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে টলিপাড়ার কয়েক জন পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সম্প্রতি ওই চ্যানেলে অ্যাক্রোপলিস এন্টারটেনমেন্ট প্রযোজিত একটি জনপ্রিয় সিরিয়ালের সম্প্রচার শুরু হয়েছে। প্রযোজনা সংস্থার তরফে সানি ঘোষ রায় বললেন, ‘‘কী ঘটেছে আমি জানি না। আমি ২০ বছর ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছি। আমার থেকে কেউ টাকা চায়নি।’’ লীনা গঙ্গোপাধ্যায় এবং শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় প্রযোজিত দু’টি সিরিয়াল ওই চ্যানেলে দর্শক দেখছেন। এই প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনকে শৈবাল বললেন, ‘‘এত দিন চ্যানেলের সঙ্গে কাজ করতে আমাদের কোনও রকম সমস্যা হয়নি। আমি মুম্বইয়ে রয়েছি। নতুন অফিসের কাজে ব্যস্ত। তাই বিষয়টা না জেনে মন্তব্য করতে চাই না।’’
অভিযুক্ত প্রাক্তন চ্যানেলকর্মী কি ছবির স্বত্ব বিক্রির ক্ষেত্রে তাঁর কাছে কোনও বেআইনি দাবি করেছিলেন? প্রশ্নের উত্তরে সুরিন্দর ফিল্মস-এর কর্ণধার নিসপাল সিংহ রানে বললেন, ‘‘একটা কর্পোরেটে অনেক নিয়ম এবং সমীকরণ থাকে। পুরো বিষয় না জেনেই বাজারে গুজব ছড়ায়। তবে এটুকু বলতে পারি আমার থেকে কেউ কখনও টাকা চায়নি।’’
চ্যানেলের সঙ্গেও এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চ্যানেল কর্তা বলেন, ‘‘চলতি সপ্তাহেই ওঁকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর বেশি কোনও মন্তব্য করতে পারব না।’’