অমৃতা সিংহ এবং সারা আলি খান। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডের অন্যতম মা-মেয়ে জুটি হলেন অমৃতা সিংহ, সারা আলি খান। স্বভাবের দিক থেকে একেবারে মায়ের বিপরীত সারা। অমৃতা অসম্ভব অর্ন্তমুখী মানুষ। সারা ততধিক মিশুকে। সমাজমাধ্যমে তাঁর জনপ্রিয়তা তাঁর সমসাময়িক অভিনেত্রীদের তুলনায় অনেকটাই বেশি। সইফ আলি খানের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর দুই ছেলেমেয়েকে একাই বড় করে তুলেছেন অমৃতা। বিদেশ থেকে পড়াশোনা করে এসে অভিনয়কে পেশা বেছে নেন সারা। বেশ অনেকগুলোই সিনেমা ইতিমধ্যে করেছেন তিনি। জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। তবু তাঁর অভিনয় দক্ষতা নিয়ে সংশয় রয়েছে একাংশের। তবে সারা মা অমৃতার চিন্তা মেয়ের বিয়ে নিয়ে, আগেভাগেই মেয়েকে সাবধান করে দিয়েছেন। কথা না শুনলে চড় কষিয়ে দিতে পারেন, এমন সম্ভবনার কথা জানান অমৃতা।
সইফ আলি খান ও অমৃতা সিংয়ের বয়সের পার্থক্য প্রায় ১২ বছরের। আশির দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অমৃতা। অন্য দিকে ব্রিটেন থেকে পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফিরে কেরিয়ার শুরুর আগেই অমৃতার প্রেমে পড়েন সইফ। ১৯৯১ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েন তাঁরা। বেশ চুপিচুপি বিয়ে করেন দু’জন। যতটা দ্রুত তাঁরা প্রেমে পড়েন, তত তাড়াতাড়ি বিয়েটা সেরে ফেলেন। কিন্তু সেই বিয়ে সুখের হয়নি। সইফের প্রথম ছবিমুক্তির দু’বছর পর ১৯৯৫ সালে সইফ এবং অমৃতার কন্যা সারা আলি খানের জন্ম হয়। কেরিয়ারে এগিয়ে যেতে না পারলেও সইফের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে মহিলাদের নাম জড়িয়ে পড়ত বলে বলিপাড়া সূত্রে খবর। এমনকি, অমৃতার সঙ্গে সম্পর্কে আসার আগে অনু অগরওয়াল এবং মুনমুন সেনের মতো বড় মাপের তারকাদের সঙ্গেও নাকি সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন সইফ। সইফ এক পুরনো সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তাঁর উপার্জন কম হওয়ার কারণে দিনের পর দিন তাঁকে কড়া কথা শোনাতেন অমৃতা। ধীরে ধীরে তাঁদের সম্পর্ক বিষিয়ে যেতে থাকে। ছেলে ইব্রাহিমের জন্মের বছর দুয়েকের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ হয় সইফ-অমৃতার। নিজের বিবাহিত জীবনের অভিজ্ঞতা থেকেই সারার মা বলেন, অল্প বয়সে মেয়ে বিয়ে করলে একদম সমর্থন করবেন না। অমৃতার কথায়, ‘‘সারা যদি বিয়ের বিষয়ে আমার মতো সিদ্ধান্ত নেয়, কষিয়ে একটা থাপ্পড় মারব আমি।’’ আসলে অমৃতা নিয়ে খুব কম বয়সে বিয়ে করেন। অভিনেত্রী হিসাবে জনপ্রিয় ছিলেন। কেরিয়ারের মধ্যগগনে খানকটা হঠকারী সিদ্ধান্ত নেন। তবে মেয়ের ক্ষেত্রে তেমন কিছু হোক, মোটেই চান না অমৃতা।