দাদাসাহেব ফালকে নেওয়ার পর বক্তব্য পেশ করছেন অমিতাভ বচ্চন। দর্শকাসনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর, জয়া বচ্চন, অভিষেক বচ্চন-সহ অন্যরা। ছবি: দূরদর্শনের ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
এ বার কি অবসর নেওয়া উচিত অমিতাভ বচ্চনের? অন্য কেউ নয়, প্রশ্ন তুলে দিলেন বিগ বি নিজেই। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের হাত থেকে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার গ্রহণের মতো গুরুগম্ভীর অনুষ্ঠানও হালকা চালে এ ভাবেই মনোগ্রাহী করে তুললেন কিংবদন্তী অভিনেতা। পুরস্কারের জন্য মনোনীত করায় দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারের জুরিদের, তথ্যসম্প্রচার মন্ত্রক এবং সর্বোপরি ধন্যবাদ জানালেন তামাম দেশবাসীকে, যাঁরা তাঁকে এত বছর ধরে কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন।
রবিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির হাত থেকে এই পুরস্কার নেওয়ার পর বলতে শুরু করেন অমিতাভ বচ্চন। ‘ব্যারিটোন ভয়েস’-এ একে একে উদ্যোক্তা, জুরি, রাষ্ট্রপতি, তথ্যসম্প্রচার মন্ত্রককে ধন্যবাদ জানান তিনি। তার পরেই সবার অনুমতি নিয়ে শুরু করেন সেই প্রসঙ্গ। বলেন, ‘‘যখন এই পুরস্কারের ঘোষণা হল, তখন একটা সন্দেহ দানা বাঁধছিল আমার মনে। ধৃষ্টতার জন্য ক্ষমা চাইছি। এটা এমন কোনও সঙ্কেত নয় তো যে, আপনি অনেক কাজ করেছেন, এ বার ঘরে বসে আরাম করুন। কিন্তু এখনও আমার কিছু কাজ বাকি। সেগুলো শেষ করতে হবে। ভবিষ্যতেও এমন কিছু সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে, যাতে আরও কিছু কাজ করার সুযোগ মিলবে। সেই নিশ্চয়তা পেলে ধন্য হব।’’
অমিতাভের বক্তব্য:
স্বাভাবিক ভাবেই এই বক্তব্যের সময় দর্শকাসনে হাসির রোল ওঠে। আর বক্তব্য শেষে করতালিতে ফেটে পড়ে গোটা হল। দর্শকাসনে একেবারে সামনের সারিতেই ছিলেন বচ্চন-জায়া তথা সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জয়া বচ্চন, ছেলে অভিষেক।
এ বছরই ভারতীয় সিনেমায় ৫০ বছর পূর্ণ করেছেন ৭৬ বছরের অমিতাভ বচ্চন। দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার চালু হয়েছিল ১৯৬৯ সালে। সেই বছরই ‘সাত হিন্দুস্তানি’ ছবির মাধ্যমে হিন্দি সিনেমায় অভিষেক হয় অমিতাভ বচ্চনের। এ বার তিনি পেলেন দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার-২০১৮। এই পুরস্কারে ১০ লক্ষ টাকা, একটি সোনার পদক এবং একটি শাল দেওয়া হয়। গত বছর মরণোত্তর এই পুরস্কার পেয়েছিলেন রাজেশ খন্না।