Amitabh Bachchan

‘আপনি কি কোনওদিন প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছেন’? ভক্তের প্রশ্নে অমিতাভ বললেন...

এমনিতেও সক্রিয় রাজনীতি থেকে বেশ খানিকটা দূরেই বসত অমিতাভের। যদিও ১৯৮৪-র লোকসভা নির্বাচনে এলাহবাদ কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি, জয়ীও হয়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২০ ১৫:৪৪
Share:

অমিতাভ বচ্চন।

আপনি কখনও অমিতাভ বচ্চনকে প্রধানমন্ত্রীর আসনে দেখতে চেয়েছেন? ওঁর-ও কি কোনওদিন ইচ্ছা হয়েছে নিজেকে ওই জায়গায় দেখার? ফাঁস করলেন বিগ-বি। ভক্তদের প্রশ্নে যা বললেন অমিতাভ, শুনলে আপনি তাজ্জব হয়ে যাবেন।

Advertisement


ইনস্টাগ্রাম লাইভ সেশনে এক অনুরাগী অমিতাভকে সটান প্রশ্ন করে বসেন, “আপনি কি কোনওদিন প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছেন”?
অমিতাভের সরেস জবাব, “আরে ইয়ার, সকাল সকাল ভাল ভাল কথা বল”। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ‘চাপ’ যে কোনওমতেই নিতে নারাজ তিনি তা তাঁর বক্তব্য দেখলেই আন্দাজ করা যায়।


এমনিতেও সক্রিয় রাজনীতি থেকে বেশ খানিকটা দূরেই বসত অমিতাভের। যদিও ১৯৮৪-র লোকসভা নির্বাচনে এলাহবাদ কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি, জয়ীও হয়েছিলেন। কিন্তু এর পর তাঁকে আর রাজনীতির ময়দানে দেখা যায়নি । তবে স্ত্রী জয়া বচ্চনের ক্ষেত্রে হিসেবটা উল্টো। সেই ২০০৪ থেকেই রাজনীতির ময়দানে রীতিমত ব্যাটিং করে যাচ্ছেন তিনি।

Advertisement

ফ্যানের প্রশ্নে অমিতাভের উত্তর


তবে অমিতাভ যে এই বয়সে এসে নতুন করে দায়িত্ব ঘাড়ে নিতে চান না, তা তাঁর পোস্ট দেখলেই আন্দাজ করা যায়। কিন্তু কোনওদিনই কি ইচ্ছা করে নি তাঁর? ইচ্ছা করেনি নিজেকে ওই আসনে দেখতে? সে কথা কিন্তু বেশ ভালভাবেই এড়িয়ে গেলেন অমিতাভ। ইদানিং সোশ্যাল মিডিয়ায় একটু বেশি অ্যাক্টিভ তিনি। কী-ই বা করবেন! শুটিং বন্ধ, জয়া বচ্চন দিল্লিতে। কিছু দিন আগেই লিখেছিলেন, এই দুর্যোগে জয়াকে মিস করছেন তিনি। টুইট শেয়ার করেও জড়িয়েছিলেন বিতর্কেও। লিখেছিলেন, ‘মাছি থেকে ছড়াতে পারে করোনা’। কিন্তু সেই বক্তব্যের উপযুক্ত প্রমাণ না থাকায় সোশ্যাল মিডিয়ায় তা নিয়ে কম হাসাহাসি হয়নি। করোনা মোকাবিলায় হোমিওপাথির প্রসঙ্গে এনেও তাঁকে পড়তে হয়েছিল ব্যঙ্গের মুখে।

আরও পড়ুন- লকডাউনে ‘বিশেষ বন্ধু’ ইউলিয়া ভন্তুরের সঙ্গেই পানভেলের ফার্মহাউজে আটকে সলমন?

যদিও দেশের দুর্দিনে দুঃস্থ এবং অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছেন অমিতাভ। দিনে দু’হাজার ফুড-কিট সরবরাহের দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি, যার মধ্যে দুশোটি হাজি আলি ও মহিম দরগায় বিতরণ করা হচ্ছে। বাকি আঠারোশো ফুড-কিট টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতাল-সহ আরও কয়েকটি মন্দির ও দরগায় পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন- লকডাউনে ভাঙা সম্পর্ক জুড়ে আবার একসঙ্গে ইমরান-অবন্তিকা?

এর পাশাপাশি দৈনিক আয়ের ভিত্তিতে কাজ করা এক লক্ষ কর্মীদের রেশনের দায়িত্বও নিয়েছেন তিনি। এই উদ্যোগে তাঁর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সোনি পিকচার্স নেটওয়ার্ক ইন্ডিয়া এবং একটি নামজাদা গয়নার ব্র্যান্ড। সাধে কি আর তিনি বিগ-বি?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement