আশি ছুঁইছুঁই বিগ বি-র পেশাগত গ্রাফ এখনও অনেককে লজ্জা দিতে পারে!
যে পরিবারের আভিজাত্য, বৈভব আমজনতার রোজকার চর্চার বিষয়, স্বপ্ন দেখা তার ধারেকাছে যাওয়ার, সেই পরিবারেরই এমন দীন দশা! এক সময়ে নাকি এতটাই দুর্দিনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন খোদ অমিতাভ বচ্চন যে, রোজকার খাবার জোটাতেই হিমশিম খেতে হয়েছে। অন্য কেউ নন, এ তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন পুত্র অভিষেকই।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিষেক জানান, তিনি তখন মার্কিন মুলুকে, চলচ্চিত্র নিয়ে পড়াশোনা করছেন। হঠাৎই জানতে পারেন বাড়ির আর্থিক অবস্থা শোচনীয়। দু’বেলা খাবার জোটাতে নাজেহাল হচ্ছেন বাবা। সেই পরিস্থিতিতে অভিষেকের পড়াশোনা মাথায় ওঠে। বিগ বি-কে বলেন, ‘‘বাবা, আমি চলে আসছি। তোমার পাশে থাকতে চাই। তুমি নিজেকে একা মনে কোরো না, আমি আছি।’’
অমিতাভের আপত্তি সত্ত্বেও কোর্সের মাঝপথে পড়া ছেড়ে দেশে ফিরে আসেন অভিষেক। অর্থনৈতিক ভাবে না পারলেও মানসিক ভাবে পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে হাল ধরেন তিনি। বিপদে গোটা পরিবারের এক হওয়ার সেই সিদ্ধান্ত কতটা ঠিক ছিল, আজ বচ্চন পরিবারের গরিমাই তার প্রমাণ।
বলিউডের ‘শাহেনশা’ নিজেই একদিন সর্বসমক্ষে বলেছিলেন, অধঃস্তন কর্মীর থেকে টাকা ধার করে সংসার চলছে তাঁর। সেই দিনগুলোর কথা ভাবলে এখনও বুক কাঁপে অভিষেকের। মানুষের জীবনে কখন কেমন দিন আসে, সে তো আগে থেকে বলা যায় না। তবে সঠিক ভাবে তার মোকাবিলা করাই আসল— এমনটাই মত জুনিয়র বচ্চনের।
বিপদের মেঘ কেটেছে বহু দিন হল। আশি ছুঁইছুঁই বিগ বি-র পেশাগত গ্রাফ এখনও অনেককে লজ্জা দিতে পারে! যখন যে চরিত্র পান, তাতেই নিজেকে নতুন করে প্রমাণ করার খিদে। এই বয়সেও অনুশীলনে ফাঁকি নেই অমিতাভ বচ্চনের। নাগরাজ মঞ্জুলে পরিচালিত ‘ঝুন্ড’-এর পরে তাঁকে দেখা যাবে ‘রানওয়ে ৩৪’ ছবিতে।