সোনু সুদ।
অভিনেতা অমিত সাধকে তাঁর কেরিয়ারে প্রথম ব্রেক দিয়েছিলেন। ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় ১০ বছর কাটিয়ে দেওয়ার পর খোদ অমিত প্রথম এ কথা সামনে আনলেন।
সোনু সুদের আত্মজীবনী ‘আই অ্যাম নো মেসায়া’ প্রকাশিত হয়েছে গত ২৬ ডিসেম্বর। টুইটারে তাঁকে শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়ে স্মৃতির পাতা ওল্টালেন অমিত। লিখলেন, ‘অনেকেই জানেন না, সোনু ভাই আমাকে আমার প্রথম ব্রেক দিয়েছিলেন। আজ আমি যেখানে আছি, তাঁর জন্য আছি। মানুষের জন্য ভাল করার প্রবণতা তাঁর হঠাৎ করে আসেনি। আমার মনে হয় তিনি অনেক বছর ধরে এই কাজ করছেন’।
উত্তর ফিরিয়ে দিয়েছেন সোনু। অমিতের কেরিয়ার এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিজেকে শুধুমাত্র অনুঘটক বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি। লিখেছেন, ‘ভাই তুমি রাজত্ব করার জন্যই জন্মেছিলে। তুমি নিজেই নিজের ভাগ্য লিখেছ। আমি শুধুমাত্র অনুঘটকের কাজটুকু করার সৌভাগ্য পেয়েছি। নিজের মুকুটে আরও পালক জুড়তে থাক’।
অমিতের কেরিয়ার শুরু হয়েছিল ২০০২ সালে ‘কিঁউ হোতা হ্যায় প্যায়ার’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে। তরুণ, স্বতঃস্ফূর্ত কলেজ পড়ুয়ার ভূমিকায় ছোট পর্দায় পরিচিতি পান অমিত। এর পর বেশ কিছু বছর ধারাবাহিকে অভিনয়ের পর বড় পর্দার দিকে এগিয়েছিলেন অভিনেতা। ২০১০ সালে ‘ম্যক্সিমাম’ ছবিতে বয়সে প্রায় দশ বছরের বড় সোনুর সঙ্গে প্রথম বড় পর্দায় অভিনয় করেন অমিত। তার বছর তিনেক পর ২০১৩ সালে ‘কাই পো চে’ ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। সেই ছবির পর আর পিছনে ফিরে তাতে হয়নি তাঁকে। এই মুহূর্তে বড় পর্দার সঙ্গে ওটিটিতেও দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন অভিনেতা। সাফল্য মেলার পরেও সোনুর সাহায্যের কথা তাঁর স্মৃতিতে উজ্জ্বল।
আরও পড়ুন: পাশাপাশি দুই বেডরুম, গোল বাথটাব থেকে সুইমিং পুল! উর্বশীর বাড়ি যেন রাজপ্রাসাদ