বলিউড তারকাদের মধ্যে সম্পর্ক, বন্ধুত্ব ঠিক যেন সিনেমার গল্পের মতো। এক এক সময় যেন একে অপরের প্রাণের বন্ধু আবার অন্য সময় একে অপরের সঙ্গে মনোমালিন্যে জড়িয়ে পড়েন।
কর্ণ জোহর এবং করিনা কপূর খানের বন্ধুত্বের জটিলতা অনেকেরই জানা। এ রকমই আরও অনেকের মধ্যেই রয়েছে টানাপড়েনের সম্পর্ক।
অভিনয়ের সূত্রে কেউ শাহরুখ-কাজলের মতো বন্ধু হয়ে সারা জীবন থেকে গিয়েছে, কেউ আবার একে অন্যের সঙ্গে একই ফ্রেমে আসতেও দ্বিধা বোধ করেন।
এমনই এক তারকা জুটির বন্ধুত্বের সম্পর্কে ফাটল ধরে এক দশক আগে। এখনও তাঁরা একে অপরকে এড়িয়ে চলেন। তাঁরা সঞ্জয় দত্ত এবং আমিশা পটেল।
এক সময় দু’জনের ভীষণ ভালো বন্ধুত্ব ছিল। এমনকি, সঞ্জয়ের স্ত্রী মান্যতার সঙ্গেও ভাল সম্পর্ক ছিল আমিশার।
২০১১ সাল পর্যন্ত তাঁদের বন্ধুত্ব অটুট ছিল। কিন্তু সম্পর্কে ফাটল ধরে ২০১২ সালের দিকে গোয়ার এক অনুষ্ঠানে।
ছেলে রোহিতের বিয়ে উপলক্ষে গোয়াতে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন পরিচালক ডেভিড ধাওয়ান।
বহু বলিউড তারকা উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে। ছিলেন আমিশা পটেল এবং সঞ্জয় দত্তও।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, আমিশা এই অনুষ্ঠানে এমন একটি পোশাক পরেছিলেন, যা অনেকটাই খোলামেলা ছিল।
সঞ্জয় ওড়না দিয়ে শরীরের অনাবৃত অংশ ঢাকার কথা বলেছিলেন আমিশাকে।
সঞ্জয়ের এই আচরণ আমিশার মোটেই ভাল লাগেনি। তিনি উল্টে সঞ্জয়কে এই বিষয় নিয়ে ব্যস্ত হতে নিষেধ করেন।
সঞ্জয় বরাবরই অন্য মানসিকতার মানুষ। মেয়েরা এই ধরনের পোশাক পরুক, তা তিনি পছন্দ করতেন না।
শেষে সঞ্জয় ওড়না দিয়ে আমিশার পোশাকের সামনের অংশটুকু ঢেকে দেন। আমিশা এই ঘটনায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন। রীতিমত চিৎকার শুরু করেন তিনি।
সঞ্জয়ের এই বিষয়ে মাথা ঘামানোর কোনও কারণই নেই, বলে চিৎকার করে ওঠেন তিনি।
সঞ্জয় এর পর আর অনুষ্ঠানে থাকেননি। জানা যায়, পরের দিনই তিনি মুম্বইয়ে ফিরে আসেন।
এর ফলে তাঁদের বন্ধুত্বেও চির ধরে যায়। এমনকি, এই ঘটনার পর দু’জন এক সঙ্গে কোনও সিনেমাতে অভিনয় করেননি।
দুটো সিনেমায় আমিশা অভিনয় করছেন জেনে সঞ্জয় আর সেই সিনেমাগুলিতে আমিশার বিপরীতে অভিনয় করতে রাজি হননি।
আমিশা এই মনোমালিন্য মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেও সঞ্জয়ের দিক থেকে কোনও সাড়া মেলেনি।
আমিশার দাবি, ‘‘সঞ্জয় আমাকে নিয়ে খুব চিন্তা করত। আমরা খুব ভালো বন্ধু ছিলাম। কোনও দিনও আমার সঙ্গে সঞ্জয় খারাপ ব্যবহার করেনি।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘কেউ আমাকে খারাপ ভাবে স্পর্শ করলে সঞ্জয় হয়তো তাকে খুনই করে ফেলত। আমার গায়ে একটা মশা মাছির কামড়ও বসতে দিত না।’’
যাঁরা তাঁদের দু’জনের বন্ধুত্ব নিয়ে হিংসা বোধ করেন, এই গুজবগুলো তাঁদেরই রটানো বলে জানান আমিশা।