জাতীয় সঙ্গীতে উঠে দাঁড়ালেন না অমিশা!

মুম্বইয়ের এক প্রেক্ষাগৃহে জাতীয় সঙ্গীত চলার সময়ে কেন তিনি উঠে দাঁড়াননি, তাই নিয়ে ছোটপর্দার এক অভিনেতা অভিযোগ করেছিলেন টুইটারে! সম্প্রতি সেই অভিযোগের জবাব দিলেন অমিশা পটেল। জানালেন, ‘গার্লি প্রবলেম’-এর জন্য তিনি উঠে দাঁড়াতে পারেননি!

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৫ ১৭:০৩
Share:

মুম্বইয়ের এক প্রেক্ষাগৃহে জাতীয় সঙ্গীত চলার সময়ে কেন তিনি উঠে দাঁড়াননি, তাই নিয়ে ছোটপর্দার এক অভিনেতা অভিযোগ করেছিলেন টুইটারে! সম্প্রতি সেই অভিযোগের জবাব দিলেন অমিশা পটেল। জানালেন, ‘গার্লি প্রবলেম’-এর জন্য তিনি উঠে দাঁড়াতে পারেননি! ক্ষিপ্ত নায়িকা আরও জানিয়েছেন, উঠে দাঁড়ালে জাতীয় সঙ্গীতকে সম্মান জানানো হত ঠিকই, কিন্তু প্রেক্ষাগৃহের পরিচ্ছন্নতা ক্ষুণ্ণ হত! সেই জন্যেই কোনও মতে ছবিটা শুরু হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করছিলেন তিনি! ছবি শুরু হতেই তিনি চলে যান ওয়াশরুমে!

Advertisement

ছোটপর্দার ওই অভিনেতার নাম কুশল টন্ডন। এর আগে বিগ বসের বাড়িতে দিন কাটিয়ে এসে কিছুটা জনপ্রিয়তাও অর্জন করেছেন তিনি। তিনিই দিন কয়েক আগে টুইট করে সবাইকে জানান ঘটনাটা। টুইটে কুশল লেখেন, “জাতীয় সঙ্গীত শুরু হল। আমরা সবাই উঠে দাঁড়ালাম। দেখলাম, একজন মেয়ে শুধু বসে আছে। প্রথমে আমার মনে হল, ও কি অসুস্থ? না কি শারীরিক প্রতিবন্ধী? তার পর খেয়াল করলাম, সে সব কিছুই নয়, বসে বসে স্রেফ নিজের মোবাইল দেখছে সে! ওই আলোতেই দেখতে পেলাম, মেয়েটি আর কেউ নয়, খোদ অমিশা পটেল!”

স্বাভাবিক ভাবেই প্রথমে বিষয়টিকে খুব একটা পাত্তা দেননি অমিশা। তার পরে, টুইটারে তাঁর সমালোচনা শুরু হলে নড়ে-চড়ে বসতে বাধ্য হলেন তিনি! এবং কৈফিয়ত দিতেও বাধ্য হলেন তাঁর আচরণের জন্য!

Advertisement

তবে, ব্যাপারটা নিয়ে খুব একটা শান্ত থাকতে পারেননি অমিশা। একের পর এক টুইটে কুশলকে ‘ইডিয়ট’, ‘জ্যাকঅ্যাস’ বলে সম্বোধন করেছেন তিনি। এবং সব মহিলাদের উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, সবার কুশলকে একটা করে থাপ্পড় কষানো উচিৎ! এও লিখেছেন, কুশলের কোনও মেয়ে বন্ধু নেই বলেই সে জানে না কী সে মেয়েদের সম্মানে আঘাত লাগে! অমিশার দাবি, কোন বিষয় নিয়ে মুখ খুলতে হয় আর কখন চুপ করে থাকতে হয়, সেটাও কুশল জানেন না!

তার পরেও প্রশ্ন কিন্তু থেমে থাকছে না। অভিযোগের আঙুল উঠছেই অমিশার দিকে— ‘গার্লি প্রবলেম’-ই যদি কারণ হয়, তবে সঙ্গে সঙ্গে কেন ওয়াশরুমে চলে গেলেন না তিনি?

অমিশার সাফ জবাব, জাতীয় সঙ্গীতের মর্যাদাহানি করতে চাননি বলেই কোনও মতে বসে ছিলেন! উঠে গেলে ব্যাপারটা আরও অবমাননাজনক হত!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement