রণধীর কপূর এবং ববিতা কপূরের কন্যা । ৯০-এর দশকের প্রথম সারির নায়িকা করিশ্মা কপূরের বোন। প্রথম থেকেই করিনা কপূরকে ঘিরে প্রত্যাশা ছিল আকাশছোঁয়া।
বছরের সব চেয়ে সফল ছবি দিয়ে কেরিয়ার শুরু করতে চলেছিলেন। কিন্তু শেষমেশ যে ছবিতে হাতেখড়ি হল, তা বক্স অফিসে গেল ডুবে! বলিউডে নবাগতা তারকা-সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে উঠতে থাকল প্রশ্ন।
অনেকে বলেন, করিনা নিজেই কুড়ুল মারেন নিজের পায়ে। অজান্তেই নাকি বলিউডে জায়গা করে দেন অন্য এক নায়িকার! ঠিক কী ঘটেছিল আজ থেকে দু’দশক আগে?
রাকেশ রোশন পরিচালিত ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’ ছবিতে অভিনয় করছিলেন করিনা। বিপরীতে পরিচালকের পুত্র হৃতিক রোশন।
নতুন নায়ক-নায়িকাকে নিয়ে কাজ এগোচ্ছিল দিব্যি। কিন্তু নির্মাতাদের সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণে আচমকাই ছবি থেকে সরে আসেন করিনা। মাঝপথে শ্যুট বন্ধ করে নারাজ রাকেশ খুঁজে নেন নতুন মুখ।
এ ভাবেই করিনার ছেড়ে দেওয়া ছবি অমিশা পটেলের কাছে বলিউডের দরজা খুলে দেয়। ২০০০ সালের জানুয়ারি মাসে মুক্তি পেয়েছিল ‘কহো না…’।
বক্স অফিসে রেকর্ড ব্যবসা করে দুই নবাগতকে নিয়ে তৈরি এই প্রেমের ছবি। ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছিলেন হৃতিক এবং অমিশাও।
অন্য দিকে, সেই বছরই জুন মাসে মুক্তি পায় করিনার প্রথম ছবি ‘রিফিউজি’। বিপরীতে অভিষেক বচ্চন। দুই তারকা-সন্তানের অভিনয় প্রশংসিত হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু ব্যবসার নিরিখে ‘কহো না…’-র ধারেও ঘেঁষতে পারেনি এই ছবি।
শোনা যায়, ‘কহো না…’ সাফল্যের পর থেকেই তিক্ততা আসে দুই নায়িকার সম্পর্কে। এমনকি অমিশার অভিনয় দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন করিনা। সাত-পাঁচ না ভেবেই অমিশার গায়ে সেঁটে দিয়েছিলেন ‘বাজে অভিনেত্রী’-র তকমা।
অমিশা যদিও আগাগোড়াই নিশ্চুপ ছিলেন। তবে সম্প্রতি জানিয়েছেন করিনার প্রতি কোনও ক্ষোভ নেই তাঁর। এক সাক্ষাৎকারে সেই কথাই বললেন ‘গদর’ অভিনেত্রী।
তিনি বললেন, “আমার কোনও শত্রু নেই। করিনাকে কিছু গান এবং ছবিতে খুব ভাল লেগেছে। অসাধারণ অভিনয় করে। এমনকি আমি আমার বন্ধুদের কাছেও ওর প্রশংসা করি। বলি, কী দারুণ কাজ করে ও!”
দু’দশক আগের তিক্ততা মনে রাখতে চান না অমিশা। তাঁর কথায়, “আমি করিনাকে নিয়ে শুধু ভাল কথাই বলব। ব্যক্তিগত ভাবে ওকে আমি চিনি না। তাই ওকে নিয়ে খারাপ কথা বলব না।”
তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘আমি ওর কাজ দেখেছি। সেটা আমার ভাল লেগেছে। ও আমাকে নিয়ে মন্তব্য করেছে? আমাকে নিয়ে ওর মতামত থাকতেই পারে।”