নতুন বছরে নতুন রূপে ফিরছেন ‘পটকা’
নতুন বছরে আনন্দবাজার অনলাইনকে নতুন খবর জানালেন অম্বরীশ ভট্টাচার্য। লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের নতুন ধারাবাহিক আসছে। সেখানে তিনিও থাকছেন। শ্যুট শুরু হবে ৮-১০ জানুয়ারির মধ্যে। কাহিনি, চিত্রনাট্যে লীনা। প্রযোজনায় ম্যাজিক মোমেন্টস। পরিচালনায় শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন ধারাবাহিকেও কি ‘পটকা’র মতো কোনও চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে? রহস্য জিইয়ে রেখেছেন অভিনেতা। এক দম নতুন ধরনের চরিত্রে নাকি দর্শকদের সামনে আসতে চলেছেন। এর বেশি বলা নিষেধ! এ দিকে, ১০ জানুয়ারি থেকে ম্যাজিক মোমেন্টস-এর পুরনো জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘খড়কুটো’ সময় বদলে আসছে দুপুর আড়াইটে। তার জায়গায় দেখা যাবে ‘আলতা-ফড়িং’। টেলিপাড়ায় ফের গুঞ্জন, এই 'খড়কুটো' নাকি শেষের পথে। মা হতে গিয়ে মৃত্যু হবে গুনগুনের! বদলে নাকি জন্ম নেবে সদ্যোজাত গুনগুন।
এই সব সত্যি? অম্বরীশ অবশ্য নস্যাৎ করেছেন এই রটনা। দাবি, নতুন কোনও ধারাবাহিকের ঘোষণা শুনলেই দর্শকদের ভয়, পুরনো কোনও ধারাবাহিকের উপরে বোধহয় কোপ পড়তে চলেছে। ‘শ্রীময়ী’ শেষ হয়েছে। সবাই এ বার শঙ্কিত ‘খড়কুটো’কে নিয়ে। অভিনেতার কথায়, ‘‘আমি যতদূর জানি, ‘খড়কুটো’ এখনও অনেক দিন চলবে। আমি দুটো ধারাবাহিকেই চুটিয়ে কাজ করব।’’
আরও খবর, এক পাহাড়ি, গ্রাম্য মেয়ের জীবন উঠে আসতে চলেছে নতুন ধারাবাহিকে। নামভূমিকায় অভিনয় করবেন ‘ধ্রুব তারা’-র ‘তারা’ ওরফে শ্যামৌপ্তি। এই ধারাবাহিকের হাত ধরেই ছোট পর্দায় ফিরতে চলেছেন রণজয় বিষ্ণু। ছোট পর্দায় অভিনয়ের পাশাপাশি নতুন বছরে কি বড় পর্দাতেও দেখতে পাওয়া যাবে অম্বরীশকে। অভিনেতার বক্তব্য, ‘‘এক সঙ্গে দুটো ধারাবাহিকের পর বড় পর্দায় কাজ করা খুবই চাপের। আমি অন্তত সামলাতে পারি না। যখন তখন পরিচালক বা প্রযোজকের থেকে ১০-১২ দিনের ছুটি চাইতেও খারাপ লাগে। তাই আপাতত ধারাবাহিকেই বেশ আছি।’’ নতুন বছরে অম্বরীশ অভিনীত তিনটি বাংলা ছবি মুক্তি পাওয়ার কথা। তিনটিরই পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। তালিকায় ‘লক্ষ্মী ছেলে’, ‘কাবেরি অন্তর্ধান’, ‘অর্ধ্বাঙ্গিনী’। তিনটিতেই গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন। ছোট পর্দার জন্য ফিরিয়ে দিয়েছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়, নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, অতনু বসুর ডাক!
বাংলা এখন বলিউডমুখী। ‘পটকা’ যাচ্ছেন কবে? স্বভাবসিদ্ধ রসিকতা যথারীতি, ‘‘আমি একে বারেই হিন্দি বলতে পারি না। ফলে, বলিউডে যাওয়ার কোনও ইচ্ছেই নেই!’’ নতুন বছরে শ্যুট থেকে ছুটি পেয়েছেন। ইচ্ছে, অনেক দিন পরে পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে মন খুলে আড্ডা দেবেন। সোমবার থেকে ফের ডুব দেবেন কাজে। নতুন বছরে কোনও নতুন শপথ? হাসিমাখা জবাব এল, ‘‘মিষ্টি দেখলে কিছুতেই নিজেকে সামলাতে পারি না। এখন আবার পিঠেপুলির মরসুম। প্রতি দিন প্রচুর পরিমাণে সে সব খাওয়া হয়ে যাচ্ছে। শীত কাটলেই মিষ্টি খাওয়া ছেড়ে দেব। ওজন যে আর বশে থাকছে না!’’