এক ফ্রেমে অম্বরীশ-মিঠুন।
জামাইকে রোগা করবেনই মিঠুন চক্রবর্তী। বেচারি খেতে ভালবাসেন। পাঁঠার মাংস পেলে নিজেকে সামলাতে পারেন না। ঠিক খেয়াল করেছেন শ্বশুরমশাই! তাঁর কড়া দাওয়াই, ‘‘পাঁঠার মাংস একদম খাবি না। হজম হতে সময় নেয়। খুব ভারী। তোকে আরও ভারী করে দিচ্ছে।’’ এখানেই শেষ নয়। তার পরেই ‘মহাগুরু’র পরামর্শ, ‘‘রোজ তেঁতুলগোলা জল খা। এতেও বাড়তি মেদ দ্রুত ঝরে। তুই আরামসে অনেকটা ঝরে যাবি।’’ বাধ্য ছেলের মতো ঘাড় নেড়ে সায় দিয়েছেন পর্দার ‘জামাই’ অম্বরীশ ভট্টাচার্য!
তার পরেই মুখ খুলেছেন আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে, ‘‘এই সব শুনে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন করেছিলাম, আপনি নিশ্চয়ই ভীষণ মেপে খাওয়া-দাওয়া করতেন?’’ উত্তর শুনে থমকে গিয়েছেন। মিঠুন চক্রবর্তীর সদর্প ঘোষণা, ‘‘ডায়েট! কোনও দিন করিনি। আমি তো সেটে কুকুরের মতো খেতাম! আর রোজ সকালে মিউজিক চালিয়ে টানা অনেক ক্ষণ নাচতাম। মেদ জমতেই পারত না।’’ মিঠুনের সেই খাওয়া এখন নামমাত্র। স্যান্ডুইচ, ফল, মুড়িতে এসে ঠেকেছে। প্রযোজক অতনু রায়চৌধুরীর আগামী ছবি ‘প্রজাপতি’। সেখানেই মিঠুন-অম্বরীশ শ্বশুর-জামাই। ছেলে দেব, মেয়ে কণীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ক্যামেরার বাইরে শ্বশুরমশাই কেমন? প্রশ্ন ছিল ‘পটকা’র কাছে। উত্তরে বলেছেন, ‘‘প্রথম দিন থেকে সেই যে প্রশংসা করতে শুরু করেছেন, সেই প্রশংসা থামছেই না। একটা শট দিয়ে আমার থেকে টাইমিং জেনে নিচ্ছেন! বলছেন, তুই, খরাজ সেটে থাকলে খুব ভয় পাই রে। তোরা এত ভাল অভিনয় করিস! বাকি সময় আড্ডা। আমিও উত্তর কলকাতার ছেলে। শুনেই কী আনন্দ মিঠুনদার। রকবাজি থেকে রাস্তার রকমারি খাওয়া— সব খুঁটিয়ে জানতে চেয়েছেন। নিজের ছেলেবেলার কথা বলেছেন। বেশির ভাগ সময়েই মানুষটা অতীতে ডুবে থাকেন। আগের ছবির টুকরো ঝলক আমাদের দেখাতেন। সেই নিয়ে স্মৃতির জাবর কাটা। বর্তমানের থেকে ফেলে আসা দিনেই তিনি যেন বেশি স্বচ্ছন্দ!’’
টানা ১০ দিন ধরে বিধাননগরের একটি বাড়িতে মিঠুনের শ্যুটসঙ্গী অম্বরীশ। এর আগে অমিতাভের সঙ্গেও বিজ্ঞাপনী শ্যুট করেছেন। দু’জনের মধ্যে আসমান-জমিন ফারাক? অভিনেতার যুক্তি, ‘‘দু’জনে দু’রকম। ‘বিগ বি’ অভিজাত। মিঠুনদা যেন পাড়ার দাদা। একে কলকাতার ছেলে। তাও আবার উত্তর কলকাতার। ফলে, আমাদের মিলটাই বেশি হয়েছে।’’ প্রেম-রাজনীতি নিয়ে কথা হয়নি? ‘পটকা’ জানিয়েছেন, রাজনীতি নিয়ে তিনি আর মিঠুন চক্রবর্তী ভিন্ন মেরুর বাসিন্দা। তাই ইচ্ছে করেই প্রসঙ্গ তোলেননি। আর প্রেম নিয়ে ‘মহাগুরু’ নাকি চমকে দেওয়ার মতো গল্প বলেছেন! শুনে হতভম্ব দেব, অম্বরীশ। তবে সে সব কথা কিছুতেই ফাঁস করেননি তিনি।
আর ‘শ্যালক’ দেব? তিনি কেমন? অম্বরীশ তাঁকে নিয়েও উচ্ছ্বসিত। বললেন, ‘‘অভিনেতা দেব সুপারস্টার। প্রযোজক দেবও যে এত ভাল, জানা ছিল না। আমাদের সুযোগ-সুবিধার দিকে সব সময় কড়া নজর।’’ তার পরেই রসিকতা, তাঁর পর্দার স্ত্রী কণীনিকাও খুবই ভাল।