Ambarish Back To Back In Two Films

জিতের ‘গোয়েন্দা পড়শি’ অম্বরীশ নাকি প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণাকে জুড়ছেন! কী ভাবে?

৭ জুন অম্বরীশ ভট্টাচার্যের দুটো ছবি মুক্তি পাচ্ছে। ‘অযোগ্য’, ‘বুমেরাং’। ভয়ে বুক ঢিপঢিপ?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২৪ ১৪:১৫
Share:

একই অঙ্গে দুই রূপে অম্বরীশ। সংগৃহীত চিত্র।

৭ জুন অম্বরীশ ভট্টাচার্যের কাছে কি একটু বিশেষ? ওই দিন তাঁর দু’টি ছবি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়-ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত অভিনীত কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘অযোগ্য’, জিৎ অভিনীত সৌভিক কুন্ডুর ‘বুমেরাং’। দু’টি ছবিতে একদম আলাদা চরিত্রে তিনি। সদ্য প্রকাশিত ট্রেলার বলছে, জিতের ছবিতে তিনি পড়শি। একই সঙ্গে মজার এবং মগজাস্ত্রের কারবারি। অর্থাৎ, গোয়েন্দাগিরি করেন। প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা জুটির ৫০তম ছবি ‘অযোগ্য’-তে তিনি কোন রূপে ধরা দিতে চলেছেন? পরিচালক কিচ্ছু আভাস দেননি। সে সব জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল তাঁর সঙ্গে।

Advertisement

অম্বরীশ অনেক দিন পর আবারও ছোট পর্দায়। তাঁকে স্টার জলসার নতুন ধারাবাহিক ‘রোশনাই’-এ দেখা যাচ্ছে। কিন্তু শেষ রবিবার বলে শুটিং থেকে ছুটি। খোশমেজাজে আড্ডা দিতে গিয়ে শুরুতেই জানালেন, এর আগেও একাধিক বার একই দিনে তাঁর দুটো ছবি মুক্তি পেয়েছে। ফলে, বিষয়টা আর তাঁকে ভাবায় না। তিনি চাপমুক্ত। তাঁর কথায়, ‘‘আমার যা করার করে দিয়েছি। পরিচালক সেটা দেখে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন। ফলে, ভয় পেয়েও লাভ নেই। দর্শকের প্রতিক্রিয়া জানার কৌতূহল অবশ্যই থাকে।’’ ইতিমধ্যেই জিতের ছবিতে তাঁর অন্য ধরনের ‘লুক’ নিয়ে হালকা চর্চা চলছে অনুরাগীমহলে। কথাটা লুফে নিলেন অভিনেতা। বললেন, ‘‘শুধু লুক কেন! চরিত্রটাও অন্য রকম। জিতের পড়শি। মাঝেমধ্যেই বিজ্ঞানীর ঘরে উঁকি দিই। খবরাখবর রাখার জন্য। আবার অন্য বাড়ির কাজের মেয়ের প্রতিও হালকা ব্যথা!’’ এ ভাবে চলতে চলতে তাঁর নজরে আসবে এমন কিছু ঘটনা, যা একটু অন্য রকম। অম্বরীশ কি মাথা খাটিয়ে সমাধান বার করতে পারবেন? সেটাই জানা যাবে প্রেক্ষাগৃহে। অভিনেতার দাবি, এর আগেও তিনি জিতের সঙ্গে ‘বাচ্চা শ্বশুর’-এ কাজ করেছিলেন। সেখানেও একদম ভিন্ন ধরনের চরিত্রে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এ বারেও সেটা হওয়ায় তিনি রাজি হয়ে গিয়েছেন।

‘বুমেরাং’ তথাকথিত বাণিজ্যিক ধারার ছবি। তার বিপরীতে অবস্থান ‘অযোগ্য’র। কৌশিকের ছবিতে সব সময় বার্তার পাশাপাশি সম্পর্কের বুনোটে ইতিবাচক ভাবনা। কথাটা মেনে নিয়ে অম্বরীশ বললেন, ''ছবিতে আমি পর্যটক। একদম শেষে বুম্বাদা-ঋতুদিকে ইতিবাচক দিকে এগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। এর বেশি আপাতত কিছু বলতে পারব না।’’ পর্দায় প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা এখনও আগুন জ্বালান। তাই জুটির ঝুলিতে ৫০টি ছবি। পর্দার নেপথ্যে এখনও গাঢ় রসায়ন? প্রশ্ন রাখতেই অম্বরীশের দাবি, ‘‘পর্দায় ওঁরা আবেশ ছড়ান। পর্দার পিছনে ভীষণ ব্যস্ত দুই সহকর্মী। সেটে আমি, শিলাজিৎদা অনেক আড্ডা দিয়েছি। ওঁদের প্রচুর দৃশ্য। তাই দম ফেলার ফুরসত পেতেন না। ফলে, আলাদা করে আড্ডা দেওয়ার সুযোগও মিলত না।’’ একটু থেমে জানালেন, প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণাকে ঘিরে যা মিথ, পুরোটাই ওঁদের অভিনয়ের মায়া। সত্যি কিচ্ছু না। সেই মায়া এই ছবিতেও প্রচণ্ড ভাবে। ফলে, এটি পরিচালকের তো বটেই, ‘অযোগ্য’ জুটির মুকুটেও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পালক হতে চলেছে।

Advertisement

এই জায়গা থেকেই সিনেবোদ্ধাদের মত, দুটো ছবি যদি আলাদা দিনে মুক্তি পেত। কৌশিক যদি একটু ভাবতেন। অম্বরীশের কথায়, ‘‘এক দিনে দুটো বাংলা ছবিমুক্তির আমিও পক্ষপাতী নই। আবার পুজোয় একাধিক ছবি এক দিনে মুক্তি পায়। সে গুলো ভাল ব্যবসাও করে। ‘বুমেরাং’ এবং ‘অযোগ্য’ ভিন্ন ঘরানার দুটো ছবি। মনে হয়, এক দিনে মুক্তি পেলেও সমস্যা হবে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement