‘ফড়িং’-র মায়ের বিয়ে সৌজন্যে-ফেসবুক
শহরে হালকা শীত শীত ভাব। সকালে কাঁচামিঠে রোদ, কিন্তু বিকেলবেলা অন্য রূপ। তির তির করে হাওয়া বইছে হেমন্তের। এমনই এক সন্ধ্যায় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন ‘আলতা ফড়িং’-খ্যাত অভিনেত্রী শাঁওলি চট্টোপাধ্যায়। তবে ‘ফড়িংয়ের মা’ বললে অবশ্য একডাকে সকলেই চিনবেন তাঁকে। চরিত্রের পোশাকি নাম রাধারানি নস্কর। জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করলেন অভিনেত্রী শাঁওলি চট্টোপাধ্যায়। পাত্র প্রতীক দত্ত। থিয়েটারের মঞ্চেই তাঁদের প্রথম দেখা। সেখান থেকে শুরু করে অবশেষে সাতপাকের বন্ধনে আবদ্ধ হলেন তাঁরা। বিরাট কোনও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন নয়, সইসাবুদ, মালাবদল ও সিঁদুরদানে বিবাহ সম্পন্ন শাঁওলি-প্রতীকের। বিয়ের দিন শাঁওলির পরনে ছিল সাদা শাড়ি। প্রতীক সেজেছিলেন ধূসর রঙের পাঞ্জাবিতে।
শনিবার দমদমের কাছে এক অনুষ্ঠানবাড়িতে আপ্যায়নের আয়োজন করেন শাঁওলি। তাঁর শুভদিনে হাজির ছিল গোটা ‘আলতা ফড়িং’ পরিবার। রিল লাইফের মেয়ে ‘ফড়িং’কে সঙ্গে নিয়ে ছবি তুলতে দেখা গেল শাঁওলিকে। আনন্দবাজার অনলাইনকে শাঁওলি বলেন, "আমরা বিয়েতে খুব বেশি আচার-অনুষ্ঠান করিনি, সবটাই বেশ ঘরোয়া ভাবে হয়েছে। তবে ইচ্ছে ছিল খাওয়াদাওয়া জমিয়ে যাতে হয়। সেটাই করেছি।" কথায় কথায় শাঁওলি জানান, এখনই মধুচন্দ্রিমার বিশেষ পরিকল্পনা নেই তাঁদের। শুটিং থেকে সময় পেলে কোথাও একটা ঘুরে আসতে পারেন।
নবদম্পতির সঙ্গে ‘আলতা ফড়িং’ পরিবার সৌজন্যে-ফেসবুক
মিষ্টি সিংহ-র সঙ্গে নবদম্পতি সৌজন্যে-ফেসবুক
শাঁওলি-প্রতীকের সম্পর্কের শুরু কী ভাবে? আনন্দবাজার অনলাইনকে আগেই অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তাঁদের পরিচয় প্রায় ন’বছরের। তিনি বলেন, “প্রতীক এমনিতে পোস্ট অফিসে চাকরি করে। কিন্তু আমাদের সম্পর্কের শুরু নাটকের মঞ্চ থেকেই। ‘বল্লভপুরের রূপকথা’ নাটকটি করতে গিয়ে দু’জনের গল্পের শুরু। কী ভাবে প্রেম হল, বলা খুবই কঠিন। বন্ধুত্ব ছিল। কিন্তু কবে যে এই দিকে গড়িয়ে গেল, বুঝেই উঠতে পারিনি কেউই।’’ আপাতত জীবনের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করছেন দু’জনে।