‘গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি’
‘বাজিরাও মস্তানি’ হোক বা ‘পদ্মাবত’, বিতর্কের ছায়া ভন্সালীর সঙ্গ ছাড়েনি। আলিয়া অভিনীত নতুন ছবি ‘গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি’-র মুক্তির তারিখ সামনে আসতেই বিপাকে পড়লেন পরিচালক। যে অঞ্চলকে নিয়ে এই ছবি নির্মাণ, মুম্বইয়ের কামাথিপুরার বাসিন্দারা বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ২০০ বছর আগের ইতিহাসকে, তৎকালীন কামাথিপুরার মানুষকে অপমান করা হয়েছে এই ছবিতে।
ছবির টিজার মুক্তি পেতেই চর্চা আরম্ভ হয় চার দিকে। উচ্চ প্রশংসিত হয় আলিয়া ভট্টের অভিনয়। তা ছাড়া অভিনেত্রীর নয়া লুক দেখে চক্ষু চড়কগাছ নেটাগরিকদের। টুইটারে এমনকী এই ছবি নিয়ে ট্রেন্ডিং-ও শুরু হয়ে গিয়েছিল।
কিন্তু সুখের দিন শেষ। শুরু হল বিতর্ক। মিনিট খানেকের ঝলকে দেখতে পাওয়া যায় কামাথিপুরার চিত্রটি। লালবাতি এলাকার প্রেক্ষাপটে বানানো ছবিটি। একাধিক গণিকালয়ের মালিকানা ছিল গাঙ্গুবাইয়ের হাতে। তাঁর দাপটের ছবিটিও তুলে ধরা হয়। মাফিয়াদের সঙ্গে ওঠাবসা ছিল মহিলার। তাঁর বায়োপিকে সঞ্জয় লীলা ভন্সালী কামাথিপুরাকে লালবাতি এলাকা হিসেবেই চিত্রায়িত করেছেন।
কিন্তু তাতে অসন্তোষে ফেটে পড়েছেন কামাথিপুরার বাসিন্দারা। বিজ্ঞপ্তিতে তাঁদের দাবি, এত বছর ধরে তাঁরা এই ‘দাগ’ মুছে ফেলার জন্য অনেক কষ্ট করেছেন। এই ছবিটি কামাথিপুরার বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সব নষ্ট করে দিল। বলা হয়েছে, ‘‘ভুল উপস্থাপনা হয়েছে। ২০০ বছর পুরনো ইতিহাসকে কলঙ্কিত করার প্রয়াস এটি। যা খুবই লজ্জাজনক। এতে কামাথিপুরার বাসিন্দাদের অনুভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।’’ শেষে এ কথাও বলা হয়েছে যে, এ বার তাঁরা আর চুপ থাকবেন না। রবিবার বেলা ১২টা থেকে এই ছবিটির বিরুদ্ধে টানা প্রতিবাদ চলবে কামাথিপুরায়।