Ankush Hazra

Bengal polls 2021: সব চ্যানেলেই ‘সরব’ মোদী, ‘নীরব’ দিদি, টুইটে নিজের বিভ্রান্তি জানালেন অঙ্কুশ

তাঁর প্রোফাইলে আর একটি পোস্ট দেখতে পাওয়া যায়। সদ্য বিজেপি-তে যোগ দেওয়া অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে জড়িয়ে ধরে আছেন অঙ্কুশ হাজরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২১ ১৯:১৫
Share:

অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা

লাইভ শুনতে বসেছিলেন অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা। এক দিকে কলকাতায় দেশের প্রধানমন্ত্রীর ব্রিগেড। অন্য দিকে শিলিগুড়িতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পদযাত্রা। সমান উৎসাহ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের চ্যানেলগুলি চালিয়েছিলেন অঙ্কুশ। কিন্তু দেড় ঘণ্টা ধরে কেবল নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ শুনতে পেয়েছেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রার কেবল ভিডিয়ো দেখতে পেয়েছেন। পর্দার একপাশে আওয়াজ। অন্য পাশে কোনও শব্দ নেই। অসন্তুষ্ট হয়ে টুইট করলেন অভিনেতা।

Advertisement

টুইটারে লিখলেন, ‘সব নিউজ চ্যানেলে দু’দিকের ভাষণই দেখতে পাচ্ছি। একটা কলকাতায়, আর একটা শিলিগুড়িতে'। কিন্তু তাঁর অভিযোগ, এক দিকে আওয়াজ রয়েছে, আর এক দিক পুরো নিঃশব্দ। কেবল ভিডিয়ো চলছে। তিনি এ কথা উল্লেখ করতে ভুললেন না যে তিনি নির্দিষ্ট কোনও রাজনৈতিক দলের সমর্থক নন। তাঁর কথায়, ‘এক জন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমি দু’দিকটাই শুনতে চাই, এটুকুই বলার’।

আনন্দবাজার ডিজিটালের সঙ্গে এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বললেন অভিনেতা। প্রথমেই তিনি জানালেন, ‘‘যদি প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ না শুনিয়ে কেবল দিদির ভাষণ শোনানো হত, তা হলে একই রকম প্রতিক্রিয়া হত আমার। আমি যে পক্ষপাতদুষ্ট নই, সে কথা বহু দিন ধরেই স্পষ্ট করে এসেছি। কিন্তু এটা তো ঠিক হচ্ছে না! আমাকে এখনই শ্যুটে বেরিয়ে যেতে হবে। তার আগে টিভি চালিয়ে বসেছিলাম রাজ্যের পরিস্থিতিটা দেখব বলে।’’ কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও কথাই শুনতে পেলেন না অঙ্কুশ। এক পক্ষের খবরটুকু সংগ্রহ করে বেরিয়ে পড়তে হচ্ছে তাঁকে।

Advertisement

অঙ্কুশের কথায়, ‘‘পায়ে হেঁটে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়েছেন দিদি। সেখানে কী ঘট‌ছে, তা কি এক বারও দেখাবে না কোনও চ্যানেল? আরে এক সঙ্গে দু’টো জায়গার আওয়াজ যে চালানো সম্ভব নয়, সে কথা আমি জানি। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তো চালানো যায়!’’ নাহ্‌, একের পর এক চ্যানেল বদলিয়ে কোনও সুরাহা পাননি অঙ্কুশ।

কথার সূত্রে জানা গেল, তাঁকে বলা হয়েছিল, ‘‘রাজনীতিতে যোগদান করতে চাইলে, এখন করে নেওয়া ভাল। রাজনৈতির দলগুলির প্রয়োজন তারকাদের। কিন্তু তাও আমি যাইনি। আমি নিজে যে দিন নিজেকে প্রস্তুত মনে করব, সে দিন ভেবে দেখব।’’

কিন্তু নেটাগরিকরা আক্রমণের সুযোগ ছা়ড়লেন না। তাঁকে তৃণমূলের সমর্থক মনে করে কটু কথা বলা শুরু হল। কারও দাবি, ‘এ রকম যদি হত…শুধু ডান দিকের ভাষণ শোনা যাচ্ছে… তা হলেও কি আপনি এই টুইটটা করতেন!’ জবাব দিয়েছেন অঙ্কুশ। জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে শুনতে চাইছিলেন। কারও একটি বাক্য থেকে তাঁকে নির্দিষ্ট কোনও দলের কর্মী বা সমর্থক হিসেবে দাগিয়ে প্রবণতাকেও কটাক্ষ করলেন অভিনেতা।

২টি টুইটের মাঝেই তাঁর প্রোফাইলে আর একটি পোস্ট দেখতে পাওয়া যায়। সদ্য বিজেপি-তে যোগ দেওয়া অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে জড়িয়ে ধরে আছেন অঙ্কুশ হাজরা। দুই অভিনেতার মুখেই হাসি। ক্যাপশনে মিঠুন চক্রবর্তীকে নতুন পথে চলার জন্য শুভ কামনা জানালেন অঙ্কুশ। লিখলেন, ‘রাজনীতির জগতে ভাল মানুষদের যোগদান খুব প্রয়োজন। তোমার মতো আরও মানুষ যেন সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ায়, এটুকুই চাই। অনেক অনেক ভালবাসা'।

এর পর অঙ্কুশের প্রোফাইল দেখে ধোঁয়াশায় নেটাগরিকরা। খানিক আগে যাঁরা অঙ্কুশের নিন্দা করছিলেন, তাঁরা কি এ বারে প্রশংসা করবেন তবে?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement