আলিয়া ভট্ট। ছবি: সংগৃহীত।
অভিনয়ের পাশাপাশি মেয়ে রাহাকেও সময় দিচ্ছেন অভিনেত্রী আলিয়া ভট্ট। মেয়েকে বড় করে তোলার জন্য নিজেকেও নতুন করে আবিষ্কার করছেন। এক দিকে মেয়ে যেমন বড় হচ্ছে, তাঁর মাতৃত্বেরও বয়স বাড়ছে। আলিয়া যে বিশ্বমানের অভিনেত্রী, তা ভাল ভাবেই জানেন রণবীর। তাই পেশাদার অভিনেত্রী হিসাবে আলিয়াকে আরও এগিয়ে যাওয়ার উৎসাহ দেন। সন্তানের জন্মের পর কিছুটা সময় বিরতি নিয়েছিলেন রণবীর-ঘরনি। তবে, তাড়াতাড়ি যাতে কাজে ফিরতে পারেন, সে ব্যাপারে সব রকম ভাবে পাশে রয়েছেন রণবীর। মেয়ের জন্মের পর স্বামী-স্ত্রী একটি বিষয়ে এককাট্টা ছিলেন। আলিয়া বলেন, “মেয়ের জন্মের পরই আমার একটা সিদ্ধান্তে আসি যে, মেয়েকে একা ছাড়ব না কখনও। রাহাকে কখনও আমি দেখব, কখনও রণবীর। যার যখন কাজ থাকবে, অন্য জন ছুটি নিয়ে আমরা সন্তানের কাছে থাকব।” যেমন পরিকল্পনা করেছিলেন সেই মাফিকই কাজ করছেন তাঁরা। তা-ও যেন বদলে যেতে হল আলিয়াকে। অবস্থা এমন যে নিজেকেই চিনতে পারছেন না তিনি।
কোনও দিন সেই ভাবে বই পড়ার অভ্যাস ছিল না আলিয়ার। ছোটবেলায় পড়াশোনায় খুব একটা মনও ছিল না তাঁর। শুধু জানলার বাইরে তাকিয়ে থাকতেন আর দিবাস্বপ্ন দেখতেন। নিজেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী। কিন্তু রাহা জীবনে আসার পরে বই তাঁর জীবনের অন্যতম সঙ্গী হয়ে উঠেছে। রোজই প্রায় একটি করে বই তিনি রাহাকে পড়ে শোনান।আলিয়া জানান, মেয়ে আসার পর তাঁর জীবনই বদলে গিয়েছে। অভিনেত্রীর কথায়, “আমার মনে হয় না আগের মানুষটা আর আছি। জীবনের অর্থ বদলে গিয়েছে। অভিনেতারা এমনিতেই আত্মকেন্দ্রিক হন। সারা ক্ষণ নিজেদের নিয়ে ভাবিত। কিন্তু রাহা হওয়ার পর কে আলিয়া ভুলে গিয়েছি। সারা ক্ষণ শুধুই রাহা, রাহা। সারা ক্ষণ মাথায় মেয়ের চিন্তাই ঘুরতে থাকে।”