২০১৮ সালের ‘ওয়ার্ল্ড মেন্টাল হেল্থ ডে’-তে শাহিনের প্রথম উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছিল। ‘নেভার বিন (আন)হ্যাপিয়ার’ বইতে শাহিন লিখেছেন নিজের অবসাদগ্রস্ততার কথা। সেই বইয়ের কথা উল্লেখ আলিয়া একটি দীর্ঘ চিঠি লিখেছিলেন। সেই লেখা থেকে জানা যায়, শাহিনের মুখ থেকে এক সময় সেই হাসি মিলিয়ে গিয়েছিল। সেই সময়ে সম্পূর্ণ ভাবে দিদির পাশে থাকতে পারেননি বলে ক্ষমাও চেয়েছিলেন আলিয়া।
বোনের বিয়েতে মনমরা শাহিন
বুধ হোক বা বৃহস্পতি। মেহেন্দি হোক বা বিয়ে। বলিপাড়ায় রণবীর কপূর এবং আলিয়া ভট্টের বিয়ে নিয়ে তুমুল মাতামাতি। কেবল এক জনেই দু’দিন ধরে বিরক্ত এবং মনমরা দেখাচ্ছে। তিনি, শাহিন ভট্ট। আলিয়ার দিদি।
মেহেন্দি অনুষ্ঠানের জন্য নিজের বাড়ি থেকে বেরিয়ে ‘বাস্তু’তে যাওয়ার পথে পাপারাৎজিদের মুখোমুখি হন শাহিন এবং আলিয়ার মা সোনি রাজদান। গাড়ির জানলার কাচ বন্ধ ছিল। বাইরে থেকে দেখা যায়, সোনি পিছনে আসন থেকে বড় মেয়ে শাহিনকে আঙুল নাড়িয়ে নাড়িয়ে কিছু বোঝাচ্ছেন। তার পরেই দেখা যায়, শাহিন কাচ নামিয়ে ধমক দেন পাপারাৎজিদের। সম্ভবত ‘না’ বলতে থাকেন তিনি। ছবি না তোলার জন্য বিরক্তি প্রকাশ করেন।
কিন্তু পরের দিন বোনের বিয়েতেও তাঁর চেহারায় আনন্দের ছাপ নেই। গোলাপি রঙের সালোয়ার স্যুট পরে গাড়ির সামনে বসে ‘বাস্তু’-তে পৌঁছন সোনি-শাহিন। তাঁর যে ভিডিয়ো এবং ছবি প্রকাশ পেয়েছে, তাতে দেখা যায়, মুখ গোমড়া করে, মনমরা হয়ে বসে রয়েছেন তিনি।
শাহিন কি তবে বোনের বিদায় পর্বের কথা ভেবে এখন থেকেই মন খারাপ করছেন? রণবীরের শ্যালিকার চোখে মুখে তাঁর যন্ত্রণা স্পষ্ট। কিন্তু কারণ বোঝার উপায় নেই।
২০১৮ সালের ‘ওয়ার্ল্ড মেন্টাল হেল্থ ডে’-তে শাহিনের প্রথম উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছিল। ‘নেভার বিন (আন)হ্যাপিয়ার’ বইতে শাহিন লিখেছেন নিজের অবসাদগ্রস্ততার কথা। সেই বইয়ের কথা উল্লেখ আলিয়া একটি দীর্ঘ চিঠি লিখেছিলেন। সেই লেখা থেকে জানা যায়, শাহিনের মুখ থেকে এক সময় সেই হাসি মিলিয়ে গিয়েছিল। সেই সময়ে সম্পূর্ণ ভাবে দিদির পাশে থাকতে পারেননি বলে ক্ষমাও চেয়েছিলেন আলিয়া। ২৫ বছর একসঙ্গে থাকার পরেও শাহিনের নীরবতার অর্থ বোঝেননি বলে আক্ষেপ করেছেন বলি তারকা। বাড়ির সবাই মিলে যখন বাইরে কোথাও খেতে যাওয়া হত, শাহিন একা থাকতে চাইলে আলিয়া ভাবতেন, বাড়িতেই হয়তো টিভি দেখতে ভালবসেন শাহিন। দিদির বই পড়েই অবসাদের কথা বুঝতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ নায়িকা। জীবন নিয়ে অন্যরকম বোধ তৈরি হয়েছে তাঁর।