‘নাও ইট হ্যাপেনস’। বৃহস্পতিবার পাকাপাকি ভাবে মিস আলিয়া ভট্ট মিসেস আলিয়া কপূর হলেন। বলিউডের ‘ক্যাসানোভা’ রণবীর কপূর বন্দি বিয়ের বাঁধনে। কপূর ও ভট্ট পরিবার একাকার এই বিয়েকে ঘিরে। সবার মাঝে সাতপাক সেরেই তড়িঘড়ি ঠোঁটে ঠোঁটে ব্যারিকেড সদ্য বিবাহিত দম্পতির। চুম্বনে, উষ্ণতায় মিলেমিশে একাকার ‘রণলিয়া’!
সবাই ভেবেছিলেন ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ হিট করানোর জন্য সব কিছু। প্রেম প্রেম ভাব। বিয়ের গুঞ্জন। শেষ মুহূর্তেও বদলেছে বিয়ের তারিখ। বিয়ের আসর। অবশেষে চার হাত এক হতেই যেন শ্বাস ছাড়ল বলিউড।
পেলব গোলাপির রোমান্স আর দুধ সাদার অহঙ্কার। তাই দিয়ে তৈরি সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের নবদম্পতির পোশাক। সঙ্গে মানানসই কুন্দনের গয়না। গলায় টাটকা জুঁইয়ের মালা। চৈত্রশেষের শেষ বিকেলে আলিয়ার চোখে বুঝি নতুন করে নিজের সর্বনাশ দেখে উঠলেন রণবীর!
সেই আবেশ ছড়িয়ে পড়েছিল বর-বধূর চেহারায়। বিয়ের ফাঁকেই তাই চলেছে প্রেমালাপ। কানে কানে কথা। আলিয়ার অধর ছুঁয়েছে রণবীরের লালচে রাঙা গাল।
বিয়ে মানে বিশেষ ভাবে বহন নয়। সাত পাক ঘুরে, অগ্নি সাক্ষী করে সাত জন্ম একসঙ্গে থাকার শপথ। সেই শপথ হাতে হাত রেখে নিয়ে 'রণলিয়া' এখন ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস কপূর’।
শপথ নেওয়া শেষ মানেই আজীবনের জন্য আপন করে নেওয়ার পালা। আলিয়ার মাঙ্গটিকা সরিয়ে এর পরেই সিঁথি সিঁদুরে রাঙিয়ে দেন রণবীর।
সিঁথি রাঙা হতেই মাঙ্গটিকা যথাস্থানে, সযতনে। কপালে চুমু এঁকে রণবীর যেন আশ্বস্ত করলেন নববধূকে। যেন বুঝিয়ে দিলেন, ‘তোমার সম্মানরক্ষার দায়িত্ব শুধুই আমার।’
‘রণলিয়া’র ভালবাসায়, আবেগে মুগ্ধ আমন্ত্রিত সবাই। তাই সবার অনুরোধে আরও এক বার নবদম্পতি বিশেষ ভঙ্গিতে ফের ক্যামেরার সামনে। এ বার তাঁদের পূর্ণাবয়ব। সাক্ষী, শেষ বিকেলের নরম আলোর সূর্য।
বান্দ্রার ‘বাস্তু’ বহুতলের বাইরে তখন সমুদ্র গর্জনকেও ছাপিয়ে গিয়েছে ‘রণলিয়া’ ডাক। অনুরাগীদের সেই ডাকে সাড়া দিয়ে নবদম্পতি বাইরে বেরিয়ে হাত নাড়তেই ঝলসে উঠেছে পাপারাৎজিদের ক্যামেরা।
যুগল রূপ দেখে চোখ জুড়োতেই অনুরাগীদের বায়না, কোলে তুলতে হবে নতুন বউকে। পর্দায় কত বার নায়িকাকে কোলে নিয়েছেন ছোটা কপূর! এ তো জীবন-নায়িকা। মুখের কথা খসতে না খসতেই আলিয়া রণবীরের কোলে।
বিয়ে-শাদি শেষ। এ বার পার্টি তো বনতা হ্যায়! রীতি মেনে জম্পেশ ভোজের আগে বর-বউয়ের সামনে দুধ সাদা কেক। গায়ে গোলাপি রঙের বসরাই গোলাপ আঁকা। হাসতে হাসতে তুলতুলে নরম কেকের বুকে মেহেন্দি রাঙা হাতে ছুরি বসিয়েছেন আলিয়া!
আজ বেসামাল হলে কোনও বাধা নেই। আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁরা দু'জনে দু'জনার। উদযাপন মধুময় করতে তাই চুমুক শ্যাম্পেনে।
এ ভাবে... ঠিক এ ভাবেই আজীবন বেঁধে বেঁধে থাকুন রণবীর-আলিয়া। পর্দার রোমান্স চুঁইয়ে পড়ুক রোজের জীবনে। ‘চিরদিনই আমি যে তোমার’... এই বিশ্বাস ঘিরে থাক দু’জনকে। আনন্দবাজার অনলাইনের পক্ষ থেকে অঢেল শুভেচ্ছা রইল নবদম্পতির জন্য।