আলিয়া ভট্ট ও রণবীর কপূর। ছবি: সংগৃহীত।
বছর ছয়েক প্রেমের পরে গত বছর মুম্বইয়ের ‘বাস্তু’তেই রণবীর কপূরের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন আলিয়া ভট্ট। বিয়ের এখনও দু’বছরও পূর্ণ হয়নি। এখনই তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে বিতর্ক নিরন্তর। প্রেম করে বিয়ে করলেও আলিয়া ও রণবীরের সংসারে নাকি অশান্তির শেষ নেই। আর সেই অশান্তির মূলে নাকি রণবীরকে ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্ক। স্ত্রী আলিয়ার উপরে নাকি সব সময় কর্তৃত্ব ফলান তিনি। আলিয়ার গলার আওয়াজ থেকে শুরু করে তাঁর সাজগোজ— সব নিয়েই নাকি নিত্য খবরদারি করেন ঋষি-পুত্র। এ দিকে আলিয়া ও রণবীরের বয়সের ফারাক ১০ বছরের বেশি। বয়সের এই পার্থক্যের কারণেই কি আলিয়াকে শাসন করার সুযোগ পান রণবীর? কর্ণ জোহরের ‘কফি উইথ কর্ণ’-এ এসে এত দিনে মুখ খুললেন আলিয়া।
‘কফি উইথ কর্ণ’-এর অষ্টম সিজ়নের সাম্প্রতিক পর্বে অতিথি হিসাবে এসেছিলেন আলিয়া। সেখানেই রণবীরকে ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্ক নিয়ে আলিয়াকে প্রশ্ন করেন কর্ণ। কর্ণের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে গড়গড় করে সব সত্যিটুকু বলে ফেলেন আলিয়া! কী সেই সত্যি? আলিয়া বলেন, ‘‘আমার সবচেয়ে খারাপ লাগে যে, রণবীরকে নিয়ে যা বিতর্ক হয়, মানুষ হিসাবে ও আদপে ঠিক তার উল্টো ধরনের। নেটাগরিকরা সমালোচনা করতে গিয়ে যা যা বলেন, যা আখ্যা দেন, আমার মনে হয় তার একটা সীমা থাকা উচিত। আমি সেটা নিয়ে ঘ্যানঘ্যান করলে আবার রণবীর আমাকেই বোঝায় যে, ‘আমরা অভিনেতারা দর্শকের সম্পত্তি। তাঁরা আমাদের নিয়ে যা খুশি বলতেই পারেন। যত দিন তোমার ছবি সফল হচ্ছে, তোমাকে অভিনেত্রী হিসাবে তাঁরা পছন্দ করছেন, তত দিন বান্দ্রার বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে বসে এ সব নিয়ে অভিযোগ কোরো না।’’’
তা হলে ঠিক কী কারণে রণবীরকে ঘিরে বার বার বিতর্কের সূত্রপাত হয়? আলিয়ার কথায়, ‘‘আমি খুব খোলামেলা ভাবে কথা বলতে পছন্দ করি। তাতে অনেক ব্যক্তিগত কথাও বেরিয়ে আসে। আমার মনে হয়, সেই কথাগুলো থেকে অনেক কিছুর ভুল মানে বার করা হয়। কিছু দিন আগেই এমন একটা ঘটনা ঘটেছিল। আমার টিম আমাকে জানায় যে, ওই বিষয় নিয়ে বিতর্ক নাকি কিছুটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। আমি তখন ওদের বলি যে থাক, যা হচ্ছে হোক। তার পরে আমি নিজেই দেখতে পাই যে, রণবীরকে নিয়ে কয়েক ডজন লেখা বেরিয়েছে যে ওর স্বভাব কতটা খারাপ, এই, সেই! আমি তো অবাক। দুনিয়ায় এত কিছু ঘটছে, যা নিয়ে লেখা দরকার। তা না করে দু’জন মানুষের ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে এত কাটাছেঁড়া চলছে!’’