‘সড়ক ২’-এর পোস্টার ঘিরে বিতর্ক। ফাইল ছবি।
দর্শকেরা যখন মহেশ-আলিয়া-পূজা ভট্টের ত্রিকোণমিতি দেখার জন্য মুখিয়ে, ঠিক তখনই আইনি গেরোয় ফাঁসল বহু প্রতীক্ষিত ‘সড়ক ২’।
সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর তাঁর সঙ্গে ভট্ট কোম্পানির দুর্ব্যবহারের কথা সোশ্যালে ছড়াতেই নেটাগরিকদের ট্রোলের মুখে মহেশ, আলিয়া ভট্ট। মহেশ সরাসরি সুশান্তকে ‘আরেক পরভিন ববি’র তকমা দিয়েছিলেন। আলিয়া ‘কফি উফথ করণ’-এ নাম শুনে চিনতেই পারেননি ‘কাই পো চে’ তারকাকে! এছাড়া, প্রয়াত অভিনেতার বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে মহেশের ঘনিষ্ঠ ছবি নিয়ে সমালোচনা তো ছিলই।
এ সমস্ত ছাপিয়ে নতুন সমস্যা তৈরি হল শুক্রবার। এবার কোন বিতর্কে ফাঁসলেন ভট্টরা?
ছবির প্রথম পোস্টারে কৈলাসের মানস সরোবর জ্বলজ্বল করছে। যা নাকি হিন্দুত্ববাদী মানসিকতা উসকে দেওয়ার মনোভাব নিয়েই করা হয়েছে, এই অভিযোগে মহেশ, মুকেশ এবং আলিয়ার বিরুদ্ধে সিকন্দরপুরের আচার্য চন্দ্রকিশোর প্রসার মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন: চলে গেলেন মাস্টারজি (১৯৪৮-২০২০)
প্রসারের আইনজীবী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ২৯৫এ এবং ১২০বি অনুযায়ী, সিনেমার পোস্টারে এভাবে কোনও ধর্মস্থানের ছবি ব্যবহার করা ধর্মীয় অনুভূতিতে অকারণ ‘সুড়সুড়ি’ দেওয়ার নামান্তর। যা একই সঙ্গে অপরাধমনস্কতার পরিচায়ক।
প্রথম বার এক স্ক্রিনে মহেশ ভট্টর দুই মেয়ে। ছবিতে রয়েছেন আদিত্য রায় কপূর, সঞ্জয় দত্তও। ফাইল ছবি।
প্রসারের অভিযোগে সাড়া দিয়েছেন চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুকেশ কুমার। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন স্থির হয়েছে ৮ জুলাই।
‘সড়ক ২’ নানা কারণে সিনেপ্রেমীদের আগ্রহের পারদ চড়িয়েছে। এই প্রথম স্ক্রিন শেয়ার করতে চলেছেন মহেশের দুই মেয়ে পূজা এবং আলিয়া ভট্ট। দীর্ঘদিন পরে এই ছবি দিয়ে আবার পরিচালনায় ফিরছেন মহেশ। ফলে, বাবা আর দুই মেয়ের রসায়ন কতটা ছাপ ফেলবে ছবিতে, কোন মেয়েকে পরিচালক বাবা বেশি গুরুত্ব দেবেন, এই নিয়েও কম জল্পনা হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: বিয়েতে নারাজ, সরোগেসিতে মাতৃত্ব, নুডিটি নিয়ে একতার বিতর্কিত শর্ত মানতে বাধ্য হন অভিনেতারা
তাছাড়া, ১৯৯১-এ সঞ্জয় দত্ত-পূজা ভট্টের যে প্রেম তোলপাড় করেছিল পর্দা, ২৯ বছর পরে কেমন আছে সেই প্রেম? জানতে আগ্রহী দর্শক। বাড়তি পাওনা, এই ছবিতেও থাকছেন সঞ্জয় দত্ত। দেখা যাবে যিশু সেনগুপ্তকেও।
সব মিলিয়ে রসায়ন আর বিনোদনের টোটাল প্যাকেজ হয়ে ছবিটি যখনই পাতে পড়ার অপেক্ষায়, তখনই এই গেরো অস্বস্তিতে ফেলেছে ভট্টদের।
দুর্মুখেরা অবশ্য দুটো সম্ভাবনা দেখছেন এর পিছনে। এক, নেতিবাচক প্রচারও ছবির ব্যবসায় ইতিবাচক হয়ে দাঁড়ায়। দুই, সুশান্তের প্রতি দুর্ব্যবহারের প্রতিশোধ এভাবে নিচ্ছে না তো জনতা জনার্দন?