দেশে ফিরে এসেছেন আগেই, কাজ করতে করতে ভুলেই গিয়েছিলেন পাসপোর্ট অন্য দেশের। — ফাইল চিত্র।
দেশ তাঁর কাছে সব কিছু। যা পেয়েছেন এখান থেকেই পেয়েছেন। নিজের দেশ বলতে ভারতই বোঝেন, আবার ব্যখ্যা করার চেষ্টা করলেন পঞ্চান্ন বছর বয়সি অক্ষয় কুমার। এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে তাঁকে বলতে শোনা গেল, “...যখন লোকে না জেনেই আমার সম্পর্কে খারাপ কথা বলে, আমার কষ্ট হয়। ভারত আমার কাছে সব কিছু। আমি যা কিছু অর্জন করেছি, সব এখান থেকেই। যদি আবার ফিরতে পারি... সেই সুযোগ খুঁজছি।” পরিচয়পত্র বলে তিনি কানাডার নাগরিক। এ দিকে ভারতেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ‘খিলাড়ি’ অক্ষয়। আয়কর দিচ্ছেন এ দেশে। বিষয়টি নিয়ে কম হাসাহাসি হয় না। লোকে আড়ালে তাঁকে ‘কানাডা কুমার’ বলে, সেই তথ্যও অজানা নয় অভিনেতার। যদিও বিভিন্ন সময়ে অক্ষয় বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, মনেপ্রাণে আসলে তিনি ভারতীয়ই।
২০১৯ সালে তিতিবিরক্ত হয়ে অক্ষয় প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, শীঘ্রই ভারতীয় পাসপোর্টের জন্য আবেদন করবেন। ৩ বছর পর ইতিবাচক খবর আসে। ভারতীয় পাসপোর্ট শীঘ্রই হাতে পেতে চলেছেন অভিনেতা।
কিন্তু কেন কানাডার পাসপোর্ট দরকার হয়েছিল অক্ষয়ের? সে কথা অনেকেরই অজানা। অক্ষয় অকপটে বলেন, “১৯৯০ সাল নাগাদ আমার একটাও ছবি চলছিল না। কিছু করতে পারছিলাম না ভারতে থেকে। তখন কিছু বন্ধুর কথায় ভাগ্যান্বেষণের উদ্দেশ্যেই কানাডায় চলে যাব ঠিক করি।”
বিদ্রুপবাণে জর্জরিত ‘কানাডা কুমার’ জানালেন, এ বার তিনি ভারতের নাগরিক হতে চলেছেন। দেশে ফিরে এসেছেন আগেই, কাজ করতে করতে ভুলেই গিয়েছিলেন পাসপোর্ট অন্য দেশের। এখন তার প্রায়শ্চিত্ত করতে চান বলে জানালেন অক্ষয়।
বলিউডে অক্ষয়ের সফল ছবির সংখ্যা কম নয়। ‘হেরাফেরি’, ‘নমস্তে লন্ডন’, ‘টয়লেট— এক প্রেম কথা’ এবং ‘প্যাডম্যান’ দর্শকের সব সময়ের প্রিয় ছবির তালিকায় থাকবে। তবে ৯০-এর দশকে পনেরোটি ছবি ফ্লপ হয়েছিল অক্ষয়ের। সেই শোকেই বিদেশে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু ভাগ্য ফিরেও আসে। বর্তমানে অক্ষয়ের হাতে রয়েছে ‘হেরাফেরি ২’-এর কাজ।