(বাঁ দিকে) অক্ষয় কুমার। দক্ষিণী অভিনেত্রী শান্তিপ্রিয়া (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
এক সময় বলিউডের সেটে নায়িকাদের নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা করা ছিল রেওয়াজ। নায়িকাদের গায়ের রং নিয়ে সমালোচনাও ছিল নিত্য কথোপকথনের অংশ। বেশি ফর্সা হলেও চলত ইয়ার্কি, আর গায়ের রং কালো হলে তো কথাই নেই। নায়িকা হয়ে কালো? তা হলে তো এটুকু ঝক্কি তো পোহাতেই হবে! তেমনটাই হয় দক্ষিণী অভিনেত্রী শান্তিপ্রিয়ার সঙ্গে। ১৯৯৪ সালে তাঁর বলিউডে অভিষেক হয়। বিপরীতে ছিলেন অক্ষয় কুমার। ছবির নাম ‘ইক্কে পে ইক্কা’। তার পর অনেকটা সময় পেরিয়ে গিয়েছে। শান্তিপ্রিয়া বলিউডে বেশ কিছু ছবি করে তার পর ফিরে যান দক্ষিণে। এখন স্বামী-পুত্র নিয়ে তাঁর ভরা সংসার। তবে ভুলতে পারেননি প্রথম ছবিতে সহ-অভিনেতা কাছে হেনস্থার কথা। সেই ঘটনার পর নাকি অবসাদে চলে যান শান্তিপ্রিয়া। যদিও অক্ষয় তাঁর মন্তব্যের কারণেও কখনওই কোনও অনুশোচনা বোধ করেননি বলেই দাবি শান্তির।
বহু বছর পর এক সাক্ষাৎকারে শান্তিপ্রিয়া বলেন, ‘‘‘ইক্কে পে ইক্কা’ ছবির সেটের ঘটনা। অক্ষয় হয়তো বুঝতেও পারেনি। সকলের সামনে তিনি আমার হাঁটুর প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘তোমার হাঁটুতে কিছু হয়েছে।’ আমি বুঝতে না পেরেই বলি, ‘না তো, কিছু হয়নি।’ পাল্টা তিনি বলেন, ‘না, মনে হচ্ছে তুমি পড়ে গিয়েছ। রক্ত জমাট বেঁধেছে মনে হচ্ছে। এতটাই কালো তোমার হাঁটুগুলো।’” শান্তি জানান, শুটিং শেষের আগের দিন এই ঘটনা ঘটে। এই মন্তব্যের জন্য পরে কোনও দিনও ক্ষমা চাননি অক্ষয় কিংবা অনুশোচনার কথা জানাননি। তবে শুধু শান্তিপ্রিয়া নন, তাঁর দিদি ভানুপ্রিয়াকেও হেনস্থা হতে হয়েছিল ব্রণভর্তি গালের জন্য। নব্বইয়ের দশকে নায়িকাদের সুন্দরী হওয়ার সংজ্ঞা বিচার হত গায়ের রং দিয়ে। তবে ধীরে ধীরে ইন্ডাস্ট্রি বদলেছে। প্রিয়ঙ্কা চোপড়া থেকে বিপাশা বসুর মতো নায়িকারা জায়গা করে নিয়েছেন ইন্ডাস্ট্রিতে। গায়ের রঙের জন্য নয়, বরং প্রতিভার জোরে।