মুম্বইয়ের বিলাসবহুল বাংলোর মধ্যে অন্যতম অজয় এবং কাজলের ‘শিবশক্তি’। তারকা দম্পতি এখানেই থাকেন ছেলেমেয়েদের নিয়ে। মাঝে মাঝেই তাঁরা বাংলোর ছবি দেন নেটমাধ্যমে। দোতলা এই রাজকীয় বাংলোয় প্রশস্ত সিঁড়ি ছাড়া লিফটও আছে।
বাংলোর পিছনে খোলা জায়গা অজয় এবং কাজল দু’জনেরই খুব পছন্দের। পাথর বসানো দেওয়াল এবং কাঠের মেঝের সামঞ্জস্য বেশ একটা মেঠো ভাব তৈরি করেছে অন্দরসজ্জায়।
পোশাক রাখার একটি আলমারির সামনে দাঁড়িয়ে প্রায়ই ছবি তোলেন কাজল। ঘর সাজানোর পরিভাষায় এর নাম ‘কুশনড ক্লোসেট’। অর্থাৎ এর আলমারির দরজার সজ্জা হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে বাদামি কুশন।
বাড়ির এক কোণে দেওয়ালের কোলে তৈরি করা হয়েছে একফালি জায়গা। খয়েরি রঙের সঙ্গে মিলিয়ে সেই কোণে বসানো আছে সাদা বড় ফুলদানি। যদিও অন্দরসজ্জার ব্যাকরণের ধারেকাছে না গিয়ে কাজল মাঝে মাঝেই সেখানে বসে পড়েন ছবি তুলতে।
বাংলোর সর্বত্র মাটির কাছাকাছি থাকা রঙের ছড়াছড়ি। বাদ পড়েনি বৈঠকখানাও। বাহারি সোফাসেটে সাজানো জায়গাটুকু দেখলেই কাজ ফেলে আরাম করতে ইচ্ছে করে। সামনেই খোলা জানালায় চোখ রাখলে সবুজের সমারোহ।
প্রবেশপথে অবশ্য সাদার আধিপত্য। তবে বাংলোর জানালা দরজা সব কাচের।
সাবেক ঘরানার নকশায় তৈরি বাংলোর প্রবেশপথে আছে খোলা বারান্দা। মাঝে মাঝেই সেখানে কফির কাপ হাতে কাজলকে দেখা যায়।
বাংলোর অনেকটা জুড়ে আছে শরীরচর্চার অত্যাধুনিক জায়গা। দিনের বড় অংশ সেখানে কাটান অজয় দেবগণ।
লিভিং রুম এবং শোওয়ার ঘরের জন্য কাজল বেছে নিয়েছেন সাদাকালো কম্বিনেশন।
বাংলোর অন্যতম আকর্ষণ কাঠের ঘোরানো সিঁড়ি। ছিমছাম অথচ সাবেক চেহারার সিঁড়ির সজ্জাও বেশ অভিনব।
বাংলোর প্রত্যেক জানালার সঙ্গেই আছে প্রশস্ত বসার জায়গা। বসতে ইচ্ছে না হলেও সেখানে জিনিসপত্র রেখে মেঝেতে বসে কাজ করা যায় হালকা মেজাজে।
অজয়-কাজলের বাংলোয় আরও একটি সিঁড়ি আছে। তার গঠন অন্য সিঁড়িটির থেকে আলাদা। রুপোলি রেলিং এই সিঁড়ির সজ্জায় অন্য মাত্রা যোগ করেছে। (ছবি: ইনস্টাগ্রাম)