ছবির প্রচারে ঐশ্বর্যা চলেছেন হায়দরাবাদে। সঙ্গী আরাধ্যা। ছবি: সংগৃহীত।
যেখানে ঐশ্বর্যা রাই, সেখানেই তাঁর কন্যা আরাধ্যা। মা-মেয়েকে একসঙ্গেই দেখা যায় সব সময়। গত বছর ঐশ্বর্যা যখন ‘পোন্নিয়িন সেলভান’-এর শুটিংয়ে ছিলেন সেখানেও পৌঁছে যেত তাঁর ১১ বছরের কন্যা। শটের ফাঁকে মেয়েকে আদর করতে ব্যস্ত হয়ে পড়তেন নায়িকা। আবার মা-মেয়েকে একসঙ্গে দেখা গেল ‘পোন্নিয়িন সেলভান ২’-এর মুক্তির আগে। ঐশ্বর্যা চলেছেন হায়দরাবাদে, ছবির প্রচারে। সঙ্গী আরাধ্যা। হাত ধরাধরি করে ঢুকলেন বিমানবন্দরে।
হাঁটু অবধি চেন লাগানো একটি কালো পোশাক পরেছিলেন ঐশ্বর্যা, সঙ্গে কালো লেগিংস। হাতে তাঁর মেরুন রঙের ব্যাগ। আরাধ্যার পরনে গোলাপি সোয়েটার এবং নীল জিনস। সোয়েটারের সঙ্গে মিলিয়ে মাথায় ছিল গোলাপি হেয়ারব্যান্ড। বিমানবন্দরে ঢোকার মুখে আলোকচিত্রীদের ক্যামেরা ঝলসে উঠল তাঁদের দেখে। ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই জল্পনা, “মা-মেয়ে আবার কোথায় চললেন?” কেউ ঐশ্বর্যার প্রতি তির্যক মন্তব্য করলেন, “অভিষেককে দরকার হয় না আর এখন।”
অধিকাংশ তারকাসন্তানই ছোট থেকে ক্যামেরার মুখোমুখি হতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। অমিতাভ বচ্চনের নাতনি, তথা অভিষেক বচ্চন আর ঐশ্বর্যা রাইয়ের কন্যা আরাধ্যাও এ সবে দিব্যি অভ্যস্ত।তবে এ দিন লজ্জা পেল আরাধ্যা, আঁকড়ে ধরল মাকে। সে ভাবেই তাকে দেখা গেল গোটা সময় ধরে। আলোকচিত্রীদের মুখোমুখি হতে হেসে ‘হ্যালো’ বললেও মাকে সে জড়িয়েই রইল।কেন সব সময় মেয়েকে কাছে রাখেন ঐশ্বর্যা? জিজ্ঞাসা করলে এক বার বলেছিলেন, “মেয়েই আমার সব। আরাধ্যাকে এক মুহূর্তের জন্য চোখের আড়াল করা সম্ভব নয়।”
যদিও আরাধ্যা সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে ইতিমধ্যেই। তার চেহারা এবং মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগে সম্প্রতি সে মামলা ঠুকেছে দিল্লি হাই কোর্টে। সেই মামলার রায়ও বেরিয়েছে ২২ তারিখ। কয়েকটি ইউটিউব চ্যানেলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে আদালত।
বিচারপতি সি হরিশঙ্কর বলেছিলেন, “অভিযুক্ত ইউটিউব চ্যানেলগুলিকে কোনও রকম ভিডিয়ো পাবলিশ, আপলোড করা বা প্রচার করা থেকে বিরত রাখা হয়েছে। আরাধ্যার মানসিক বা শারীরিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কোনও ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমের কোনও মঞ্চে থাকবে না।” শুধু তা-ই নয়, চ্যানেলগুলির মালিকদের খুঁজে বার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে গুগলকেও।