(বাঁ দিক থেকে) অমিতাভ বচ্চন, জয়া বচ্চন, ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন, অভিষেক বচ্চন। ছবি: সংগৃহীত।
২০০০ সালে ‘ঢাই অক্ষর প্রেম কে’ এবং ২০০৩ সালে ‘কুছ না কহো’ হয়ে ঐশ্বর্যা-অভিষেকের প্রেম গড়ায় পর্দা ছাড়িয়ে বাস্তব জীবনে। বেশ কয়েক বছর প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর ২০০৭ সালে চার হাত এক হয় যুগলের। প্রায় ১৬ বছর হল বচ্চন পরিবারে পুত্রবধূ হয়ে এসেছেন তিনি। জনসমক্ষে অমিতাভ ও জয়ার আদর্শ পুত্রবধূ হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন অভিনেত্রী। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান থেকে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানেও শাশুড়ির পাশেই দেখা গিয়েছে বৌমাকে। গত দেড় দশকের বেশি সময়ে একাধিক বার বচ্চন পরিবারের সদস্যদের সমীকরণ নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে বলিউডে। শাশুড়ি জয়া বচ্চন ও ননদ শ্বেতা বচ্চন নন্দার সঙ্গে নাকি আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক ঐশ্বর্যার, এমন কানাঘুষোও শোনা গিয়েছে বহু বার। অভিষেকের সঙ্গে তাঁর দাম্পত্যও নাকি সুখের নয়, এমন কথাও বাতাসে ভেসে বেড়ায়। কেউ তাঁকে ‘বচ্চন বহু’ বলে ডাকলেো নাকি আপত্তি জানান ঐশ্বর্যা! তবে কি সম্পর্কের সমীকরণে কোনও সমস্যা দেখা দিয়েছে বচ্চন পরিবারে?
অভিষেক-ঐশ্বর্যার বিয়ে ছিল সে বছর বলিউডের সব থেকে আলোচিত ইভেন্ট। তাঁদের বিয়ে নিয়ে কৌতূহলের অন্ত ছিল না দর্শকদের। যে সময় অভিষেককে বিয়ে করেন অভিনেত্রী, তিনি ছিলেন বলিউডের প্রথম সারির নায়িকাদের অন্যতম। বরাবরই তাঁর নামের পাশে যুক্ত হয়েছে নানা বিশেষণ। তবে বচ্চন পরিবারে বিয়ের পর থেকে তাঁক ডাকা হয় ‘বচ্চন বহু’ নামে। তাতেই আপত্তি জানান অভিনেত্রী। ২০০৮ সালে একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রীকে ‘বচ্চন বহু’ সম্বোধন করায় আপত্তি জানান ঐশ্বর্যা। তাঁর কাছে এই সম্বোধনটি বেশ নাটুকে বলেই মনে হয়। সেই সময় অভিনেত্রী বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, এই ধরনের বিশেষণ চটকের জন্য ব্যবহার করা হয়। ‘বচ্চন বহু’ তকমাটা একটু নাটুকে। আমি এক জন সাধারণ মেয়ে। নাম ঐশ্বর্য রাই, যে অভিষেক বচ্চনকে বিয়ে করেছে।’’