Aindrila Sharma

‘মিষ্টিকে হারিয়েছি, কলকাতা আর ভাল লাগে না’, মেয়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে আবেগঘন ঐন্দ্রিলার মা

ঠিক এক বছর আগে নভেম্বর মাসেই বাড়ির মূল চালিকাশক্তিকে হারিয়েছিল শর্মা পরিবার। ঐন্দ্রিলার মৃত্যুবার্ষিকীতে কেমন আছেন তাঁরা?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:৫৪
Share:

শিখা শর্মার সঙ্গে ঐন্দ্রিলা শর্মা। ছবি: সংগৃহীত।

এক বছর আগে ঠিক এই দিনে দুপুর ১ট নাগাদ শেষ হয়ে গিয়েছিল ঐন্দ্রিলা শর্মার লড়াই। দু’বার ক্যানসার আক্রান্ত হয়েও ফিরে এসেছিলেন ঐন্দ্রিলা, তবে শেষ বারটা ফিরে আসা হল না যে। একটা বছর কেটে গেল ঐন্দ্রিলাকে ছাড়া। তবু মিষ্টিকে (অভিনেত্রী ডাকনাম) ছাড়া একটা দিনও কাটেনি মা শিখা শর্মার। তবে এই এক বছরে যেটা কমেছে, সেটা কলকাতার সঙ্গে যোগযোগ। এই শহরটার সঙ্গে ক্রমে আলগা হচ্ছে শর্মা পরিবারের সম্পর্কে। টালিগঞ্জ এলাকার এক সুসজ্জিত ফ্ল্যাটে দুই পোষ্যকে নিয়ে থাকতেন ঐন্দ্রিলা। তবে আদরের মিষ্টি যখন আর নেই, অভিনেত্রীর জন্মস্থানেই ফিরে গিয়েছেন তাঁর বাবা-মা। তাই মেয়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে কলকাতা নয়, বরং সব আয়োজন করেছেন বহরমপুরে। কোনও পুজোপাঠ নয়। বরং ঐন্দ্রিলার ভালবাসাকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন তাঁর মা শিখা।

Advertisement

ঐন্দ্রিলার মৃত্যুবার্ষিকীতে বহরমপুরে বৃক্ষরোপন, নারায়ণ সেবা, পথ কুকুরদের খাওয়ানোর মতো নানা পরিকল্পনা রয়েছে। আনন্দবাজার অনলাইনকে শিখা দেবী বলেন, ‘‘এই এক বছরে এমন একটা দিন যায়নি যে, মিষ্টিকে মনে পড়েননি। ও আমার পরিবারের শিরদাঁড়া ছিল। ওর মৃত্যবার্ষিকীতে ও বেঁচে থাকবে যা কিছু ভালবাসত তার মধ্যে। গাছ ছিল ওর বড্ড প্রিয়। তাই বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজে ১২টা গাছ লাগানো হয়েছে. এ ছাড়াও আমার নার্সিং কলেজেও গাছ লাগানো হয়েছে। দুপুরে প্রায় ৫০০ লোককে খাওয়ানো হবে। সন্ধ্যায় পথকুকুরদের জন্য সামান্য কিছু বন্দোবস্ত করা হয়েছে। তবে এখন আর কলকাতায় ভাল লাগে না। বহরমপুরে ওর জন্মস্থান। এখানেই সব করছি। এ ছাড়াও ভবিষ্যতে একটা স্কুল খোলার পরিকল্পনা আছে,’’ বলতে গিয়ে ডুকরে উঠলেন শিখা শর্মা।

শুধু শর্মা পরিবার তাদের আদরের মিষ্টিকে হারায়নি। পাশাপাশি অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী হারিয়েছেন তাঁর প্রিয়তমাকেও। এই মৃত্যবার্ষিকীতে কী করছেন তিনি? শিখা শর্মা বলেন, ‘‘কালকেই কথা হয়েছে। ভাল কি না জানি না, তবে ঠিক আছে। আমাকের ওঁর আর মিষ্টির সুন্দর মুহূর্তের গল্পগুলো মাঝেমাঝেই বলে। আমি শুনি, আমার ভাল লাগে। ওকে ভাল থাকতেই হবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement