সৌরভ দাস, অভিনেতা।
খাতায়কলমে তিনি শাসকদলের সদস্য। প্রার্থী হওয়া তো দূর, নির্বাচনী প্রচারে একদিনও দেখা যায়নি তাঁকে। ২৭ মার্চ নির্বাচনের প্রথম দিন মুখ খুললেন সৌরভ দাস। ভোট নিয়ে তাঁর প্রথম ভাবনা শেয়ার করলেন নেট মাধ্যমে। কী লিখেছেন অভিনেতা-রাজনীতিবিদ? সকালে কফি কাপে চুমুক দিচ্ছেন, নিজের এমনই একটি সাদা-কালো ছবি পোস্ট করেছেন ইনস্টাগ্রামে। ক্যাপশন, ‘কোন কফি পছন্দ? সিদ্ধান্ত আপনার। যা-ই বাছুন ভেবেচিন্তে বাছুন।’
আপাতদৃষ্টিতে ভীষণ সাদামাঠা কথা। তার মধ্যেই যেন অনেক কিছু বলে দিলেন অভিনেতা। বাংলার ভবিষ্যত নির্ভর করছে ২১-এর বিধানসভা ভোটে। তাই কি তিনি এই মন্তব্য করলেন? পাশাপাশি ছবি ঘিরে প্রশ্ন, রাজনীতি তাঁর জীবন থেকে রং শুষে নিয়েছে? সাদা-কালো ছবি দিয়ে কী বোঝাতে চাইছেন অভিনেতা? তবে অধিকাংশ নেটাগরিক তাঁকেই সমর্থন জানিয়েছেন, ‘আমরা এ টুকুই করতে পারি। বুদ্ধিমানের মত সিদ্ধান্ত নিতে পারি।’
কিন্তু শাসকদলে যোগদানের পরেও কেন এই নীরবতা?
কিছু দিন আগে সৌরভের হয়ে আনন্দবাজার ডিজিটালের সঙ্গে কথা বলেছিলেন বান্ধবী অনিন্দিতা বসু। তখনই জানিয়েছিলেন, তৃণমূলে যোগদানের পরেই বোনের সঙ্গে তোলা জন্মদিনের ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সৌরভের। নিজের বোনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ককে বিকৃত করে দেখেন এক দল নেটাগরিক। ‘চরিত্রহীন’ বলে দাগিয়ে দেওয়া হয় অভিনেতাকে। পুরো পরিবার ভেঙে পড়ে মানসিক ভাবে। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন অভিনেতার বাবা। ঘটনায় বিপর্যস্ত সৌরভ তার পরেই রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন বলে দাবি অনিন্দিতার।