‘মর্দানি ৩’-এর জন্য মুখিয়ে রয়েছেন রানি মুখোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
২০১৪ সালে ‘যশরাজ ফিল্মস’-এর কর্তা আদিত্য চোপড়ার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন রানি মুখোপাধ্যায়। তার বছর খানেকের মধ্যেই রানি ও আদিত্যর কোলে আসে কন্যাসন্তান। আদিরার জন্মের পর থেকে তাকেই সব থেকে বেশি সময় দিয়েছেন রানি। হাতেগোনা কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছেন। ২০১৪-১৫ সালের পরে যে ক’টা ছবিতে রানিকে দেখা গিয়েছে, সব কটিই গতে বাঁধা বাণিজ্যিক ছবির থেকে বেশ আলাদা। সেই ধারা বজায় রেখে চলতি বছরে রানি পর্দায় ফিরেছেন ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ ছবির মাধ্যমে। ইতিমধ্যে দর্শক ও সমালোচকদের মন জয় করেছে এই ছবি। সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি এই ছবি চোখে জল এনেছে মায়েদের। ছবির সাফল্য উদ্বুদ্ধ করেছে খোদ বলিউড অভিনেত্রীকে। শোনা যাচ্ছে, এত দিন ক্যামেরার সামনে না থাকলেও ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ ছবির মাধ্যমে পুরনো আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন রানি মুখোপাধ্যায়। তাই ফের ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে মুখিয়ে আছেন বলিউডের বাঙালি অভিনেত্রী।
রানির অভিনীত অন্যতম চর্চিত ও সফল ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি ‘মর্দানি’। ২০১৪ সালে মুক্তি পায় ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির প্রথম ছবি। সদ্যপ্রয়াত বাঙালি পরিচালক প্রদীপ সরকারের পরিচালনায় ইন্সপেক্টর শিবানী শিবাজি রায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন রানি। বক্স অফিসে দর্শকের সাড়া পেয়েছিল ওই ছবি। প্রথম ছবির সাফল্যের পর ২০১৯ সালে তৈরি হয় ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির দ্বিতীয় ছবি ‘মর্দানি ২’। সেই ছবি অবশ্য প্রদীপ সরকার পরিচালনা করেননি। গোপী পুথরনের পরিচালনায় তৈরি হয় ‘মর্দানি ২’। প্রথম ছবির মতো নজরকাড়া না হলেও দর্শক পছন্দ করেছিলেন দ্বিতীয় ছবিও। এ বার ‘মর্দানি’ ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির তৃতীয় ছবির জন্য মুখিয়ে রানি মুখোপাধ্যায়ের অনুরাগীরা। ছবি নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী নিজেও।
এক সাক্ষাৎকারে রানি জানান, ‘মর্দানি ৩’ ছবিতে শিবানী শিবাজি রায়ের চরিত্রে ফিরতে আগ্রহী তিনি। চিত্রনাট্যকররা খুব তাড়াতাড়ি গল্প সাজিয়ে ফেলবেন বলে আশা তাঁর। তবে, শুধু ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি অব্যাহত রাখার জন্য ছবি বানানোর পক্ষপাতী নন অভিনেত্রী। তাঁর দাবি, যদি গল্পের বাঁধন ভাল হয়, তবে ছবি বানানো সার্থক।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ‘ওটিটি কনটেন্ট’ নিয়ে মুখ খোলেন বলিউড অভিনেত্রী। ওটিটি প্ল্যাটফর্মের রমরমায় কিছুটা ঢিমেতালে চলছে প্রেক্ষাগৃহের বাজার। এ প্রসঙ্গে রানি জানান, ‘কনটেন্ট’ শব্দবন্ধতেই নাকি আপত্তি রয়েছে ওঁর। অভিনেত্রী মতে, সিনেমা আসলে প্রেক্ষাগৃহেই উপভোগ করার মতো একটা অভিজ্ঞতা।