বুকের পাঁজরে চোট পাওয়ার পর এই প্রথম বাড়ির বাইরে ভক্তদের সামনে এলেন অমিতাভ। ছবি: অমিতাভ বচ্চনের ব্লগ থেকে।
চলতি মাসের প্রথম দিকে বুকের পাঁজরে চোট পেয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন। হায়দরাবাদে ‘প্রোজেক্ট কে’ ছবির অ্যাকশন দৃশ্যের শুটিং করতে গিয়ে ঘটেছিল বিপত্তি। নিজের ব্লগে অমিতাভ সেই দুর্ঘটনার কথা প্রসঙ্গে জানিয়েছিলেন, ছিঁড়েছে বুকের তরুণাস্থি। তারই সঙ্গে ছিঁড়েছে ডান পাঁজরের পেশি।
স্বাভাবিক ভাবেই মেগাস্টারের চোটের কথা ছড়িয়ে পড়তেই অনুরাগীরা দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেন। যাবতীয় শুটিং বাতিল করে বিগত ৩ সপ্তাহ ‘জলসা’র (মুম্বইতে অমিতাভের বাসভবনের নাম) অন্দরেই বন্দি অমিতাভ। নিজের ব্লগে নিয়মিত শরীরস্বাস্থ্যের খুঁটিনাটি জানিয়েছেন তিনি। জানিয়েছিলেন, ধীরে ধীর সেরে উঠছেন। কিন্তু রবিবার মুম্বই অন্য অমিতাভকে প্রত্যক্ষ করল।
সূত্রের খবর, দ্রুত শুটিংয়ে ফিরতে চাইছেন অমিতাভ। ছবি: অমিতাভ বচ্চনের ব্লগ থেকে।
অনেকেই জানেন, প্রতি রবিবার জলসা’র বাইরে আগত ভক্তদের দর্শন দেন মহাতারকা। গত কয়েক সপ্তাহ এই পর্ব বন্ধ ছিল। কিন্তু রবিবার অনুরাগীদের সামনে বেরিয়ে এলেন অমিতাভ। বাইরে তখন অপেক্ষারত অগণিত ভক্ত। সকলেই অপেক্ষা করছেন প্রিয় তারকাকে এক ঝলক দেখতে। অবশেষে অপেক্ষার অবসান। ধীর পায়ে বেরিয়ে এলেন ৬ ফুট ৪ ইঞ্চির মানুষটি। প্রথা মেনে দাঁড়ালেন জলসার বাইরে রাখা টুলের উপর।
কিন্তু অন্যান্য দিনের সঙ্গে এই দর্শনের একটা যে ছোট্ট পার্থক্য রয়েছে। অভিনেতার কাঁধ থেকে ঝুলছে সাদা চাদরের বাঁধন। তার মধ্যে ডান হাত বুকের কাছে বাঁধা। পরনে সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি এবং কালোর উপর সাদা নকশা করা জ্যাকেট।
আসলে চোট পাওয়ার পর আপাতত ডাক্তারের পরামর্শে এই ভাবেই তাঁর হাত বেধে রেখেছেন অমিতাভ। এই প্রসঙ্গে অভিনেতা তাঁর ব্লগে লিখেছেন, ‘‘কাজ চলতেই থাকবে। শুভানুধ্যায়ীদের রবিবাসরীয় আশীর্বাদ। আপনাদের আমার ভালবাসা এবং কৃতজ্ঞতা।’’ এরই সঙ্গে অমিতাভ লিখেছেন, ‘‘এখনও ওঁরা আসেন। আর আমি আমার বাড়িতে তৈরি স্লিংয়ে সজ্জিত।’’ ব্লগের অন্য একটি পোস্টে বাড়ির বাইরে অপেক্ষারত জনতার বিভিন্ন মুডের তোলা ছবিও অমিতাভ পোস্ট করেছেন। সঙ্গে তাঁর ছোট্ট প্রতিক্রিয়া, ‘‘আরও ভালবাসা।’’
এরই সঙ্গে তাঁর চোট নিয়েও কিছু তথ্য জানিয়েছেন অমিতাভ। অনুরাগীদের সামনে আসার আগে অভিনেতা তাঁর ব্লগে লিখেছিলেন, ‘‘ধীরে ধীরে চোট সারছে। আশা করছি আজকে আবার গেটের বাইরে অনুরাগীদের সামনে গিয়ে দাঁড়াত পারব। ওঁদের থেকে দূরে থাকা অর্থহীন। শুভানুধ্যায়ীদের জীবন আমার কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। ওঁদের জন্যই আমার বেঁচে থাকা।’’
এ দিকে ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, প্রায় তিন সপ্তাহ বাড়িতে বিশ্রামে থেকে অমিতাভ ক্লান্ত। বই পড়ে, গান শুনে এবং সমাজমাধ্যমে ঘোরাফেরা করে সময় কাটিয়েছেন তিনি। আর বাড়িতে থাকতে চাইছেন না। শুটিংয়ে ফেরার জন্য অমিতাভ রীতিমতো অধৈর্য হয়ে উঠেছেন। কারণ তাঁর অনুপস্থিতিতে বন্ধ রয়েছে একাধিক প্রযোজনা। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এখনও ডাক্তারের তরফে মেলেনি কাজে ফেরার অনুমতি।