নীলাঞ্জন ঘোষ এবং ইমন চক্রবর্তী।
এ টুকুই জানতে চেয়েছেন নীলাঞ্জন ঘোষ, 'ঝড় উঠবে বলল না রোদ!' তাতেই বুধবার তুলকালাম নেটমাধ্যমে। শিল্পীর স্বপক্ষে-বিপক্ষে নেটাগরিকের সংখ্যা প্রচুর। বিরোধী পক্ষের দাবি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিপর্যয় নিয়ে এই ধরনের মন্তব্য অমানবিক। সমর্থকদের পাল্টা প্রশ্ন, তারকা বলে কি নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারবেন না? বিষয়টি নিয়ে আনন্দবাজার ডিজিটালের কাছে ইমন চক্রবর্তী বিস্ময় প্রকাশ করে বললেন, ‘সামান্য কথায় এ বার আমার স্বামী ট্রোলের শিকার!’
ইমনকে নিয়ে ট্রোলিং নতুন কিছু নয়। বুধবার শিল্পী নিজেই নেটমাধ্যমে সরাসরি জানিয়েছেন, ‘‘আমায় নিয়ে মানুষের প্রচুর বিরক্তি। কিছু করলেও বিতর্ক, না করলেও!’’ এ বার সেই ধকল পোহাতে হচ্ছে তাঁর স্বামীকেও। প্রকৃত ঘটনা কী? ঘূর্ণিঝড় ইয়াস নিয়ে তোলপাড় বাংলা। ইয়াস তার চিহ্ন রেখেছে উপকূলবর্তী অঞ্চলে। শহরাঞ্চল তুলনায় ঝড়ের কবলমুক্ত। মেঘের ফাঁকে রোদের ঝিলিকও দেখা গিয়েছে সেখানে। নীলাঞ্জন সেই কথাই তুলে ধরতে চেয়েছেন।
ফলাফল? নেটাগরিকদের একটা বড় অংশ ধিক্কার জানিয়েছেন নীলাঞ্জনকে। কারওর দাবি, ‘বলছি, একটু দিঘা বা নিদেনপক্ষে ডায়মন্ডহারবারের দিকে চোখটা মেলে তাকান’। কারওর ব্যঙ্গ, ‘ভাগ্যিস ঝড় আসেনি। এলে ওই "rowd" পেছন দিয়ে ঢুকত। তখন এ সব সস্তার খিল্লি করা বেরিয়ে যেত...’। নীলাঞ্জন কিন্তু পুরো ব্যাপারটাকেই খেলাচ্ছলে নিয়েছেন। আনন্দবাজার ডিজিটালকে জানিয়েছেন, ‘‘বুধবার আমায় ভরপুর বিনোদন জুগিয়েছে নেটমাধ্যম। এঁরা এক রাতের অতিথি। একটু খুঁচিয়ে আনন্দ পান। রাত কাটবে এঁদের কথাও ফুরোবে।’’ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইমনও। বলেছেন, তিনি নিজেও বোঝেন জনপ্রিয় হলে এই ধরনের মন্তব্য শুনতে হবে। একই সঙ্গে স্বীকার করেছেন, ‘‘নীলাঞ্জন ঠান্ডা মাথার মানুষ। আমি এখনও প্রতিক্রিয়াশীল। তাই গায়ে লাগে।’’ প্রশ্নও তুলেছেন, কেন অকারণে খুঁচিয়ে আনন্দ পান মানুষ? প্রযুক্তির উন্নতি কি সবার মন বিকৃত করে তুলল?