সলমনই পর্দায় এক হতে দেননি ঐশ্বর্যা আর শাহরুখকে? ছবি: সংগৃহীত।
সলমন খান এবং ঐশ্বর্যা রাই নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকের অন্যতম চর্চিত নাম। তাঁদের প্রেম, বিচ্ছেদ, তার পর একে অপরের মুখ না দেখা— সব মিলিয়ে সে সময় প্রায়ই খবরের শিরোনামে থাকতেন দুই তারকা। তাঁদের প্রেমের শুরুয়াত সঞ্জয় লীলা ভন্সালী পরিচালিত ‘হম দিল দে চুকে সনম’-এর সেটে। সেই সময় কাছাকাছি আসেন তাঁরা। এমনই এক সময় শোনা যায়, ছবির এক প্রিমিয়ার পার্টিতে ঐশ্বর্যা সম্পর্কে কুকথা বলায় এক পরিচালককে চড় মেরে বসেন ভাইজান। এই চক্রে ঐশ্বর্যার কেরিয়ারেও নেমে আসে বিপর্যয়। একের পর এক ছবির চুক্তি হাতছাড়া হয়ে যায় তাঁর।
পাশাপাশি, ঐশ্বর্যার প্রতি অধিকারবোধ বাড়তে থাকে সলমনের। এখানেই শেষ নয়, সেই সময় মদের প্রতি আসক্ত হতে শুরু করেন সলমন। এক বার নাকি ঐশ্বর্যার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে তিনি পাগলের মতো দরজা খোলার জন্য চিৎকার শুরু করেছিলেন। শুধু তাই নয়, অভিনেত্রীকে হুমকি দেওয়া এবং তাঁর গায়ে হাত তোলার অভিযোগও উঠেছিল সলমনের বিরুদ্ধে। প্রথমে স্বীকার না করলেও পরবর্তী কালে সে কথা মেনে নিয়েছিলেন বিশ্বসুন্দরী। তিনি বলেছিলেন, এক বার নয়, বহু বার তাঁকে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে সলমনের কাছে। সলমন অবশ্য ঐশ্বর্যার অভিযোগ মিথ্যা বলেই দাবি করেন।
ঐশ্বর্যার আক্ষেপ, সেই পর্বে শাহরুখ খানের সঙ্গে পাঁচটি ছবির কাজ হারিয়েছেন তিনি। সলমনের সঙ্গে ‘কুৎসিত’ অধ্যায়ের ইতির পরই এই ঘটনা ঘটে বলে তিনি জানান সিমি গারেওয়ালের চ্যাট শোতে। ঐশ্বর্যার দাবি, ‘বীর জ়ারা’, ‘চলতে চলতে’, ‘ম্যায় হুঁ না’, ‘পহেলি’ এবং ‘মুন্না ভাই এমবিবিএস’-এর মতো বেশ কয়েকটি ছবিতে শাহরুখের সঙ্গে কাজ করার কথা ছিল তাঁর।
অভিনেত্রীর কথায়, “সেই সময় আমি আর শাহরুখ অনেকগুলো ছবিতে একসঙ্গে কাজ করব বলে কথা হয়েছিল। কিন্তু কোনও ব্যাখ্যা ছাড়াই আমার সব চুক্তি বাতিল হয়ে যায়। কেন, তার উত্তর আমার কাছে কখনওই ছিল না।” সম্পর্কের তিক্ততার কারণেই ঐশ্বর্যা নাকি এর পর কোনও ছবিতে সলমনের সঙ্গে কাজ করতেও রাজি হননি। ২০০২ সালে সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর পরিচালনায় ‘দেবদাস’-এ একসঙ্গে অভিনয় করেন শাহরুখ এবং ঐশ্বর্যা, সে ছবি বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।