Aindrila Sharma

‘দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে মানুষ এ ভাবেই লড়ে’, প্রথম কেমো নিয়েই শ্যুটিংয়ে ঐন্দ্রিলা

প্রথম কেমো নিয়ে ৮ মার্চ তিনি আবার সান বাংলার ‘জিয়ন কাঠি’ ধারাবাহিকের ফ্লোরে।

Advertisement

Upali Mukhopadhyay

শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২১ ১২:৫৭
Share:

ঐন্দ্রিলা শর্মা

নারী দিবসে লড়াইয়ে ফিরলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। প্রথম কেমো নিয়ে ৮ মার্চ তিনি আবার সান বাংলার ‘জিয়ন কাঠি’ ধারাবাহিকের ফ্লোরে। চেনা সাজঘরে মেকআপ নিতে ব্যস্ত আগের মতোই। সেই ছবি অভিনেত্রী গতকাল শেয়ার করেছেন তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে।

Advertisement

ঐন্দ্রিলার শরীরে ২ বার মারণ রোগ থাবা বসিয়েছে। তাকে অগ্রাহ্য করেই তিনি শ্যুটিংয়ে। কেমন লাগছে, জানতে আনন্দবাজার ডিজিটাল যোগাযোগ করেছিল তাঁর সঙ্গে। কেমো নেওয়ায় যেন সামান্য ক্লান্ত অভিনেত্রীর গলা। তিনি নিজেও স্বীকার করে নিলেন সে কথা, ‘‘কেমো নিয়েছি বেশ কয়েক দিন আগে। আগের থেকে ভাল আছি। তবে ক্লান্তি পুরোপুরি কাটেনি। কিন্তু আর থেমে থাকতে রাজি নই। কত দিন সেটের বাইরে! চেনা পরিবেশে এসে যেন প্রাণ ফিরে পেলাম।’’ ১৯ মার্চ তাঁর দ্বিতীয় কেমোথেরাপির দিন। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘সম্ভবত এখন এক সপ্তাহ শ্যুটিং করতে পারব।’’

৬ বছর আগে প্রথম শিরদাঁড়ার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। যা এ দেশে প্রায় দেখাই যায় না। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘সেই সময় চিকিৎসকেদর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছিলাম। ব্যায়াম, বিশ্রাম, ওষুধপত্র, ইতিবাচক মনকে হাতিয়ার করে। একদম সুস্থও হয়ে গিয়েছিলাম।’’ মারণ রোগ কী করে আবার তাঁকে কাবু করল, ঐন্দ্রিলা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন না।

Advertisement

কোথা থেকে এত লড়াইয়ের শক্তি পাচ্ছেন তিনি? জোর গলায় জবাব এল, ‘‘মানুষের যখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যায়, এ ভাবেই লড়াইয়ে ফেরে সে। আমারও একই অবস্থা। জানি, ফিরতেই হবে। এবং ফিরতে পারবও।’’ ঐন্দ্রিলার পাশে তাঁর পরিবার, অসংখ্য অনুরাগী, টেলিপাড়ার সমস্ত মানুষ, প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী। সবার শুভেচ্ছা, ভালবাসা, আশীর্বাদ তাঁর রক্ষাকবচ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement