অরিন্দমের ‘বাপি’ হওয়ার রহস্য ফাঁস
দেবাংশু সেনগুপ্ত-খেয়ালি দস্তিদারের সন্তান আদিত্য সেনগুপ্ত। দম্পতি বিবাহ বিচ্ছিন্ন অনেক দিনই। ভাঙা সংসারের শিশুরা যেমন হয়, তেমনই ছিলেন তিনিও। একটু অভিমানী, স্পষ্টবক্তা, অনেকখানি জেদি। এই অভিমান, জেদ থেকেই মায়ের ‘বিশেষ বন্ধু’ অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায় তাঁরও ‘অরিন্দম’! পরে সেই তিনিই আদরের ‘বাপি’! কী করে?
জি বাংলার এক টক শো-এ আদিত্য সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছিলেন সেই অভিজ্ঞতা। সঞ্চালক দেবশঙ্কর হালদারকে বলেছিলেন, ‘‘যে দিন বুঝেছিলাম, বাবা, বাপি দু’জনেই আমার। দু’জনেই আমার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। সে দিন থেকেই 'অরিন্দম' সম্বোধন বদলে আপনা থেকেই ডাকতে শুরু করি ‘বাপি’ বলে।’’
আদিত্য তখন অনেকটাই ছোট। সেই সময় মা-বাবার বিচ্ছেদ। পরে খেয়ালির হাত ধরেন তাঁর খুব ভাল বন্ধু অরিন্দম। মায়ের সঙ্গে তাঁর ‘বিশেষ বন্ধু’ সারা ক্ষণ কথা বলতেন। মেনে নিতে পারতেন না শিশু আদিত্য। তার অবাক জিজ্ঞাসা, ‘‘মা তো তার মা! তার দিকে বেশি খেয়াল রাখবে। কেন বন্ধুর সঙ্গে এত কথা বলবে?’’ সেই সময় শনিবার করে পরিচালক-অভিনেতা নিজের বাবা দেবাংশুর কাছে যাওয়ার ছুটি পেতেন। দিনটা খুব মজায় কাটত। কারণ, বাবার কাছে অবাধ স্বাধীনতা।
বাড়ি ফেরার সময় বেজায় মনখারাপ দেবাংশু-খেয়ালির ‘বুশকা’র। মা-বাপির শাসনে ফের পরাধীন তিনি। একটু বড় হওয়ার পরে সেই ‘বুশকা’ অনুভব করেছিলেন, তাঁর জন্য অরিন্দমের অপেক্ষাটা মেকি নয়। যত ক্ষণ না আদিত্য ফিরতেন, অরিন্দমের উদ্বেগ হত। তিনি বাড়িতে পা রাখলেই ঝলমলিয়ে উঠতেন পরিচালক-অভিনেতা-গায়ক। আদিত্যের কথায়, ‘‘এই অনুভূতিই বাপির প্রতি জমে থাকা সব ক্ষোভ মুছে দিয়েছিল। নেতিবাচক ভাবনার মেঘ সরতেই আবিষ্কার করলাম, কখন যেন বাবার সমান জায়গা দখল করেছে আমার বাপিও!’’