অদিতি মুন্সীর ‘সঙ্গীতম’-এর উদ্যোগে এ বার শুরু হল ‘বসন্তের বৈঠক’। নিজস্ব চিত্র।
গানের জগতে তিনি পরিচিত নাম। সারেগামাপা’র মঞ্চ থেকে উত্থান। এখন কলকাতার সঙ্গীতমহলে প্রতিষ্ঠিত সঙ্গীতশিল্পী অদিতি মুন্সী। তাঁরই উদ্যোগ তৈরি ‘সঙ্গীতম’। সব ধারার গান এসে মিলবে এই ‘সঙ্গীতম’-এর কিনারে, এই আশা নিয়েই এই মঞ্চ তৈরি করেছেন অদিতি। ‘সঙ্গীতম’-এর উদ্যোগে এ বার শুরু হল ‘বসন্তের বৈঠক’। দোল উৎসবের পুণ্যতিথিতে শুরু হতে চলেছে এই অনুষ্ঠান। গান, গল্প, আড্ডা ও রঙে ভরা এই অনুষ্ঠানে থাকছেন হৈমন্তী শুক্লা, লগ্নজিতা চক্রবর্তীর মতো শিল্পীরা। থাকছেন ঋষি পাণ্ডা, অরিত্র দাসগুপ্ত, রূপক দে।
অনুষ্ঠানে থাকছেন হৈমন্তী শুক্লা, লগ্নজিতা চক্রবর্তী, ঋষি পাণ্ডা, অরিত্র দাসগুপ্ত, রূপক দে। নিজস্ব চিত্র।
অদিতির কথায়, ‘‘বসন্ত আমার প্রিয় ঋতু, প্রকৃতি নবরূপে সৃষ্টি হওয়ার এক নতুন অধ্যায় বসন্ত। সমস্ত পুরাতন ভুলে নতুন ভাবে মেতে ওঠা যায় এই বসন্তে, আর বসন্তেই লুকিয়ে রয়েছে সঙ্গীতের এক রাগ। তাই বসন্তের রং গায়ে মেখে ‘সঙ্গীতম’-এর নিবেদন ‘বসন্তের বৈঠক’।’’ দোল উৎসবের দিন, অর্থাৎ ৭ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে এই বৈঠক। সঙ্গীতশিল্পী অদিতি মুন্সী জানান, সারা মাসে প্রতি মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটায় ‘সঙ্গীতম’-এর ইউটিউব চ্যানেলে দেখা যাবে এই বৈঠক। গান, গল্প, মজা, আর অনেক অনেক আড্ডায় মেতে উঠবেন শহরের বিশিষ্ট শিল্পীরা। শুধু বসন্তই নয়, আগামী হোক সঙ্গীতময়। এই ভাবনা নিয়েই পথ চলতে চায় ‘সঙ্গীতম’, জানান অদিতি। অনুষ্ঠানের জন্য ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে সাড়া মিলেছে শ্রোতা ও অনুরাগীদের।
বসন্ত মানেই মন ভাল করার সময়, বসন্ত মানেই প্রেম। বসন্ত মানেই কোকিলের কুহুতান, আর সঙ্গে মন ভাল করা গান। এই ঋতুতেই তাই গানের পাশাপাশি জমিয়ে আড্ডা দিতে ‘সঙ্গীতম’-এর প্রয়াস বসন্তের বৈঠক। প্রসঙ্গত, অদিতির স্বপ্নের প্রয়াস ‘সঙ্গীতম’। ‘সঙ্গীতম’কে ঘিরে অনেক ভাবনা-চিন্তা রয়েছে তাঁর। ভবিষ্যতে তা ক্রমশ প্রকাশ্য, জানান অদিতি। শুধু বিশিষ্টদের গান ও গল্প নয়, অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শ্রোতা ও অনুরাগীদেরও বসন্তের শুভেচ্ছা জানাতে চান সঙ্গীতশিল্পী।