‘আদিপুরুষ’ ছবির পোস্টার। ছবি: সংগৃহীত।
মুক্তির দিনেই জমজমাট ইনিংস খেলেছিল ওম রাউত পরিচালিত ‘আদিপুরুষ’। বিশ্ব জুড়ে ১৪০কোটি টাকা উঠে এসেছিল বক্স অফিস সংগ্রহে। তার পরের দু’দিন ১০০ কোটি করে আয় হয়েছিল। সব মিলিয়ে তিন দিন পর ঝুলিতে এখন ৩৪০ কোটি।
তর্ক-বিতর্ক, প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ছবির এই সাফল্য নজিরবিহীন। গত ১৬ জুন মুক্তি পেয়েছে রামায়ণ-আশ্রিত ‘আদিপুরুষ’। তেলুগুভাষী কিছু অঞ্চলে এই ছবি নিয়ে দেখা গিয়েছে ব্যাপক উন্মাদনা। অনুরাগীরা জমায়েত করে পটকা ফাটিয়েছেন। ছবিতে রাম চরিত্রে প্রভাসের রাজকীয় প্রত্যাবর্তনে এই উদ্যাপনের কারণ। প্রেক্ষাগৃহে হনুমানের জন্য সংরক্ষিত আসন নিয়েও জোরদার চর্চা সমাজমাধ্যমে। আবার, হনুমানের মুখের ভাষা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। চলতি ‘অশালীন’ ভাষা সংশোধন করে উপযুক্ত সংলাপ-সহ ছবিটি প্রদর্শিত হবে ৭২ ঘণ্টা পর থেকে, এমনই জানিয়েছেন নির্মাতারা।
অতিমারি-পরবর্তী হিন্দি ছবির দুনিয়ায় এটি তৃতীয় বৃহৎ ‘ওপেনিং’। এর আগে রয়েছে ‘পাঠান’ এবং ‘কেজিএফ ২’। ৫০০ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি হওয়া এই ছবি প্রভাসের শেষ দু’টি অসফল ছবি ‘রাধে শ্যাম’ এবং ‘সাহো’-র তুলনায় অনেক বেশি ব্যয়বহুল।
ভিএফএক্সের কাজ নিয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার ফলেই ‘আদিপুরুষ’- এর খরচ বেড়ে গিয়েছিল। মুক্তির দিন পিছিয়ে গিয়েছিল, ভিএফএক্সের কাজ নিখুঁত করতে নতুন করে বিপুল অর্থ ঢালতে হয়েছিল। কিন্তু ঘষামাজা করার পরেও পুরোপুরি ত্রুটিমুক্ত হয়নি ভিএফএক্সের খুঁটিনাটি— ছবি দেখার পর দর্শকের প্রতিক্রিয়া তেমনটাই। যদিও লোকসানের সম্ভাবনা একেবারেই নেই ‘আদিপুরুষ’-এর। কারণ বাজেটের ৮৫ ভাগ আগেই নাকি তুলে নিয়েছেন নির্মাতারা। এখন শুধু লাভের হিসাব গোনা।
কথা ছিল, বিপুল সমারোহে এক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হবে এই ছবির। কিন্তু কোনও কারণ ছাড়াই বাতিল হয়ে যায় সেই অনুষ্ঠান। দেশ জুড়ে ৬ হাজার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘আদিপুরুষ’। লাভের অঙ্কও উঠছে লাফিয়ে লাফিয়ে।