সুদীপার সঙ্গে আদিদেব।
জন্ম থেকেই আদিদেব চট্টোপাধ্যায় তারকা সন্তান। স্বাভাবিক ভাবেই চর্চার কেন্দ্রে। ১২ নভেম্বর তিন বছরে পা রাখল অগ্নিদেব-সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের ছোট ছেলে। এক সপ্তাহ আগে থেকে জন্মদিনের তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছিল। আদির চুল-বদল দিয়ে উদযাপন শুরু! ১১ নভেম্বর মাঝ রাতে হইচই করে কেক কাটা। জন্মদিনের দুপুরে রুপোর থালা, বাটিতে থরে থরে এক রত্তির পছন্দের পদ। সন্ধেয় বড় চমক। টুকটুকে লাল উপহারের ব্যাগ নিয়ে হাজির আদির নতুন বন্ধু (নাকি বান্ধবী?)! কে সে?
রহস্য জিইয়ে রেখেছেন সুদীপা। ছবি প্রকাশ্যে আনলেও ভুলেও নাম ফাঁস করেননি!
বন্ধুর সঙ্গে শুধু ছবি তুলেই যদিও আদি থামেনি। জন্মদিনের কেক খাওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। খুদেদের হুল্লোড়েও আদির সঙ্গে সমান তালে মাততে দেখা গিয়েছে তাকে। পরনে সাদা ড্রেস। খোলা লম্বা চুল। মাথায় রানি রঙা হেয়ার ব্যান্ড।
বান্ধবীর সঙ্গে আদিদেব।
জন্মদিনের সকাল থেকেই রাজকীয় আয়োজন ছিল আদির জন্য। বাঙালি রীতি মেনে পাঁচ রকমের ভাজা, তরকারি, ঘি, ভাত, মাছ, মাংসের এলাহি আয়োজন। রজনীগন্ধার গোড়ের মালা সাজানো টেবিলের উপরে। সাদা পাজামা-পাঞ্জাবিতে তারকা সন্তান যেন রাজপুত্র। বিকেলে সেই আদিই সাদা শার্ট, জলপাই সবুজ ব্লেজার, বুটে কেতাদুরস্ত। বন্ধুকে পাশে নিয়ে কেক কেটেছে হাসিমুখে। সেখানেও বৈচিত্র্য। নানা রকমের মোটিফে সাজানো চকোলেট, ক্রিম কেক। আদির গালে কেকের ক্রিমের দাগ!
তবে সমস্ত অনুষ্ঠান ছাপিয়ে সবারই বারেবারে নজর পড়েছে আদির পাশে থাকা ‘নতুন বন্ধু’র দিকে। জানা গিয়েছে, তাঁর বাবা বিখ্যাত গায়ক। দেশ ছেড়ে বিদেশেও তাঁর গানের খ্যাতি। পাশাপাশি, তিনি রাজনীতিতেও পোক্ত। কেন্দ্রে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন স্বচ্ছন্দে। চলতি বছরের পুজোতেও তিনি সস্ত্রীক এসেছিলেন চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে।
আবারও এলেন আদির জন্মদিনের নিমন্ত্রণে। তিনি বাবুল সুপ্রিয়। অগ্নি-সুদীপার ভাল বন্ধু। তাঁর মেয়ে নয়নাও তাই স্বাভাবিক ভাবেই আদির নতুন ভাল বন্ধু! তাকেই তাই সারাক্ষণ দেখা গিয়েছে চট্টোপাধ্যায় পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্যের পাশে! আনন্দবাজার অনলাইকে জানিয়েছেন সুদীপা স্বয়ং।