হতাশ হয়ে পড়ছেন কি অধ্যয়ন? ছবি: সংগৃহীত।
বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে স্বজনপোষণ নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে। তারকা-সন্তানরা অন্য নবাগতদের তুলনায় বেশি সুবিধা পান, এমন অভিযোগ তোলেন অনেকেই। তবে, তারকার সন্তান হয়েও ইন্ডাস্ট্রিতে উপযুক্ত সুযোগ মেলে না, নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করার পরিসর মেলে না— এমন প্রমাণও যে রয়েছে, মনে করিয়ে দিলেন অভিনেতা অধ্যয়ন সুমন। অভিনেতা শেখর সুমনের পুত্র তিনি, তবু নিজের জায়গাটা পাকা করতে পারেননি, ক্ষোভ উগরে দিলেন অধ্যয়ন।
ইন্ডাস্ট্রিতে প্রতিষ্ঠাকামী আরও অনেককে যেমন বড় বড় লোকের সঙ্গে মেলামেশা করার পরামর্শ দেওয়া হয় কাজের সুযোগ পেতে, অধ্যয়নকেও তেমনটাই উপদেশ দেওয়া হয়েছিল। শেখর-পুত্রের কথায়, “অনেকেই আমাকে বলত, ‘যাও না ভাই, ইন্ডাস্ট্রির লোকজনের সঙ্গে মেশো, পার্টি করো’। আমার প্রশ্ন হল, পার্টি করার সঙ্গে কাজ পাওয়ার কী সম্পর্ক?”
তথাকথিত সংযোগ বজায় রাখার পদ্ধতি নিয়ে আশাবাদী নন অধ্যয়ন, তবে নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি, নিজের লক্ষ্য উঁচু তারে বেঁধেছেন বলেই জানান।
নিজের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, “রাত ২টোর সময় এক জন কাস্টিং ডিরেক্টর ফোন করে ঘুম থেকে তোলেন আমায়, বলেন, উঠে এখনই চলে আয় পার্টি করতে। আমি সেই অসময়ে উঠে গিয়েছি। কাজের জন্য এত ব্যগ্র হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু কয়েক বছর পরে নিজেকে কুকুরের মতো মনে হতে শুরু করল। তাদের যেমন উঠতে বললে ওঠে, বসতে বললে বসে— তেমনটাই।”
অভিনেতা জানান, সবচেয়ে খারাপ ব্যাপার হল, তিনি এই সব লোককে না বলতে পারতেন না। কারণ, ‘না’ বললেই তাঁদের ভঙ্গুর অহমিকায় আঘাত লেগে যেত।
এখন পরিস্থিতি বদলাচ্ছে বলেও মনে করেন না অধ্যয়ন। তাঁর মনে হয়, সমাজমাধ্যমের জনপ্রিয় লোকজনেরই এখন জয়জয়কার। প্রতিভা আছে কি না, দেখা হয় না এই ইন্ডাস্ট্রিতে।
অধ্যয়নের কথায়, “এখন সবটুকু নির্ভর করছে কে ইনস্টাগ্রামে কত জনপ্রিয় তার উপর। কিন্তু ইনস্টাগ্রামের জনপ্রিয়তা দিয়ে কি বোঝা যায় কে কেমন অভিনেতা? অভিনয়ের জন্য তো কিছু কৌশল রপ্ত করতে হয়।”
যদিও ইনস্টাগ্রামে রিল বানানো, নাচ দেখানোই চলতি ধারা, তবে তাতে গা ভাসাতে চান না অধ্যয়ন। তিনি বলেন, “এতে আমার খুব অস্বস্তি হয়। এ সব আমায় দিয়ে না করানোই ভাল। আমি অভিনেতা। আমাকে দিয়ে অভিনয় করিয়ে নাও। সুযোগ না পেলে অভিনেতা কী করবে?”
প্রকাশ ঝা বা সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছার কথা প্রকাশ করলেন অধ্যয়ন।