কেরিয়ারের গোড়ায় তাঁর অভিনয় ও ম্যানারিজমের সমালোচনা করেছিলেন রাজ কপূর। ভয়ে পিছিয়ে যাননি তিনি। বরং, কঠোর অনুশীলনে নিজেকে পরিমার্জিত করেছিলেন জারিনা ওয়াহাব। বলিউডে সাত ও আটের দশকে তিনি তৈরি করেছিলেন নিজস্ব ঘরানা।
১৯৫৬ সালের ১৭ জুলাই জারিনার জন্ম অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে। মাতৃভাষা উর্দুর মতোই সাবলীল ভাবে বলতে পারেন তেলুগু, হিন্দি ও ইংরেজি। পুণের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট থেকে পাশ করার পরে বলি ইন্ডাস্ট্রিতে আত্মপ্রকাশ।
প্রথম ছবি ‘ইশক ইশক ইশক’ মুক্তি পায় ১৯৭৪ সালে। তবে জারিনা নজর কাড়েন ১৯৭৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাসু চট্টোপাধ্যায়ের ছবি ‘চিতচোর’-এ। পাশের বাড়ির মেয়ের মতো চেহারার সারল্যই ছিল তাঁর ইউএসপি। ‘অগর’, ‘জজবাত’, ‘ঘরোন্দা’ তাঁর কেরিয়ারের উল্লেখযোগ্য ছবি।
১৯৮৬ সালে কাজের সূত্রে অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চোলির সঙ্গে আলাপ জারিনার। ক্রমশ আলাপ থেকে প্রেম। বয়সে ছ’বছরের বড় জারিনাকে ১৯৮৬ সালে বিয়ে করেন আদিত্য।
বিয়ের পরে নয়ের দশকের শুরু অবধি অভিনয় করেন জারিনা। তারপর কয়েক বছর দূরে থাকেন ইন্ডাস্ট্রি থেকে। ফিরে আসেন ২০০৪ সালে। ইদানীং কাজ কমিয়ে দিলেও অভিনয় করছেন জারিনা। তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছে চলতি বছরে মু্ক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘ওয়ান ডে: জাস্টিস ডেলিভার্ড’ ছবিতে।
আদিত্য-জারিনার দুই সন্তান। সূর্য ও সানা। বান্ধবী জিয়া খানকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত সূর্য। এই বিতর্কিত ঘটনার জেরে খুব বেশি এগোয়নি তাঁর বলিউডি কেরিয়ার।
ছেলের মতো বিতর্কিত বাবাও। ইন্ডাস্ট্রিতে একাধিক অভিযোগ আছে আদিত্য পাঞ্চোলির বিরুদ্ধেও। শোনা যায়, পূজা বেদীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন আদিত্য।
এরপর তাঁর জীবনে আসেন কঙ্গনা রানাউত। তখন তিনি উঠতি নায়িকা। প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে তিনি আদিত্যর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ আনেন।
তবে কোনও সময়েই স্বামীর পাশ থেকে সরে যাননি জারিনা। সমর্থন করেছেন আদিত্যকে।
জারিনা বলেছেন, অতীতে কী হয়েছে, তিনি সবই জানেন। বরং, তাঁর অভিযোগের তির কঙ্গনার দিকেই। অপবাদের আঁচ দাম্পত্যের সম্পর্কে পড়তে দেননি অভিনেত্রী জারিনা।