স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় এবং অন্বেষা সেন। ছবি: ফেসবুক।
একটি মাত্র সন্তান। মায়ের কাছে আজীবন সে তাই ছোট্টটিই। বাস্তবে যতই বড় হয়ে যাক। মা যদি খ্যাতনামী হন, তবুও। এই নিয়ম নড়চড় ঘটে না। স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়-অন্বেষা সেন যেমন। শুক্রবার তিনি ২৫। অভিনেত্রী মা সমাজমাধ্যমে তাঁকে এক দম ছোট্ট মেয়ের মতো করে আদরে ভরিয়ে দিলেন! মেয়ের এক গুচ্ছ নানা মুহূর্ত স্বস্তিকার সৌজন্যে আবারও জীবন্ত। সঙ্গে আদুরে বার্তা।
অভিনেত্রী সম্ভবত বিদেশে, হয়তো মেয়ের কাছে। স্নাতক হওয়ার পর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন অন্বেষা। তারই একটি মুহূর্ত এ দিন স্বস্তিকার সমাজমাধ্যমের আকর্ষণ। তার পরেই ‘বার্থডে গার্ল’-এর সঙ্গে তোলা নানা ভঙ্গির ছবি। একটিতে বিদেশের রাস্তায় মা-মেয়ে পাশাপাশি বসে। মেয়ের মাথার ‘প্রজাপতি’ ক্লিপ অনুরাগীদের দেখাবেন বলে নিজস্বী তুলেছেন। এ ভাবেই ক্যামেরাবন্দি ছোট ছোট মুহূর্ত সাক্ষী, মা-মেয়ে পরস্পরের কত কাছাকাছি। দু’জনেই যে প্রায় এক সঙ্গে বড় হয়েছেন!
স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে লেখা স্বস্তিকার বার্তাটিও রঙিন। তাঁর বক্তব্য, “পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরীর জন্মদিন। আমার মেয়ে, সবার সেরা। আমার বেড়ানো, খাওয়াদাওয়ার সঙ্গী। তুমি আছ বলেই আমার হৃদস্পন্দন থেমে যায়নি। তুমি আছ বলেই আমার জীবনে এত আলো, এত রং!” পর মুহূর্তেই চিরাচরিত মা তিনি। আশীর্বাদ জানিয়েছেন, ১০০ নয়, ১০৩ বছর যেন তাঁর সন্তান বাঁচে। যাঁকে নিয়ে তিনি সারা পৃথিবী ঘুরে বেড়াবেন। মেয়ের সব স্বপ্ন যাতে পূরণ হয় সেই শুভেচ্ছা জানাতেও ভোলেননি। অন্বেষাকে আশ্বস্ত করেছেন এই বলে, মেয়ের সুখের জন্য তিনি আজীবন সন্তানের ভারী বোঁচকা (পড়ুন জীবনের সমস্ত ওঠাপড়া) বইতেও রাজি! অন্বেষা তাঁর চোখে ‘রাজকন্যা’। মেয়ের চলার পথ আলোকিত করতে দরকারে তিনি নক্ষত্রলোকের আলো ধার করে আনবেন।