অভিনয়ের থেকে গুঞ্জনই ছিল তাঁর কেরিয়ারে বেশি আলোচিত। নায়িকা হিসেবে ধূমকেতুর মতো উত্থান। আবার ইন্ডাস্ট্রি থেকে মিলিয়েও যান আচমকাই। নয়ের দশকের সাড়া জাগানো নায়িকা সুমন রঙ্গনাথন।
১৯৭৪ সালের ২৬ জুলাই সুমনের জন্ম কর্নাটকে। তাঁর প্রথম ছবি ‘সিবিআই শঙ্কর’ মুক্তি পায় ১৯৮৯ সালে। কন্নর এই ছবি হিট করেছিল। অভিনয় করেছেন হিন্দি ছাড়াও বিভিন্ন দক্ষিণী ভাষার ছবিতে।
বেশির ভাগ হিন্দি ছবিতেই অভিনয় করেছেন পার্শ্বনায়িকা হিসেবে। সেগুলির মধ্যে অন্যতম ‘ফরেব’, ‘আ অব লট চলে’ এবং ‘বাঘবান’। ‘হম তুমহারে হ্যায় সনম’ ছবিতে সুমন অভিনয় করেছিলেন শাহরুখ খানের বোনের ভূমিকায়।
বহু পুরুষের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে সুমনের। মডেলিং-এর দিনগুলিতে সুমন ঘনিষ্ঠ ছিলেন ফারহান আখতারের। তাঁর সঙ্গে সিরিয়াস সম্পর্ক চেয়েছিলেন ফারহান। কিন্তু শোনা যায়, সুমনই সেই মুহূর্তে বয়সে ছোট ফারহানের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দেন।
ছবিতে অভিনয় শুরু করার পরে সুমনের জীবনে আসেন রাহুল রায়। দু’জনে লিভ ইন-ও করতেন। তাঁদের বিয়ে হবে বলেও জোরদার হয় গুঞ্জন। কিন্তু তার মধ্যেই সম্পর্ক ভেঙে দেন দু’জনে। তবে বিচ্ছেদের পরেও দীর্ঘ দিন তাঁদের বন্ধুত্ব অটুট ছিল।
এর পর ইন্ডাস্ট্রির বাইরে, একাধিক ব্যবসায়ীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন সুমন। কিন্তু কোনওটাই দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ইতিমধ্যে প্রযোজক বান্টি ওয়ালিয়ার সঙ্গে সুমনের সম্পর্ক শুরু। দু’জনে বিয়ে করেন ২০০৬ সালে।
তবে তাঁদের বিয়ে স্থায়ী হয়েছিল মাত্র আট মাস। প্রকাশ্যে চলে এসেছিল তাঁদের দাম্পত্য-বিবাদ। বান্টির অভিযোগ ছিল, বিয়ের পরেও একাধিক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সুমনের।
সুমনের বিরুদ্ধে বান্টির আরও অভিযোগ ছিল, তিনি মূল্যবান অলঙ্কার ও অর্থ নিয়ে চলে গিয়েছেন।
চলতি বছর জুনে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন সুমন। তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী ইন্ডাস্ট্রির কেউ নন। তাঁর নাম সজন চিন্নাপ্পা। পেশায় কফি প্ল্যান্টার।
অভিনয়ের পাশাপাশি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা এবং টেলিভিশনে রিয়েলিটি শো-এ বিচারকের দায়িত্বও পালন করেছেন সুমন।